অত্যন্ত সুন্দরবনে এবার ডিজিটাল স্কুল! খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক

Follw Us Now

অত্যন্ত সুন্দরবনে এবার ডিজিটাল স্কুল! খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক

EKHON BHARAT :- সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের সরকারি প্রাথমিক স্কুল। এই ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, স্কুলের পরিকাঠামো তাক লাগাবে যে কোন বেসরকারি স্কুলকেও। বাসন্তীর চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবসের দিন চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল এটেন্ডেন্স সিস্টেম। এক কথায় ডিজিটাল পরিচয় পত্র।

এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় আড়াইশো। তবে স্কুলের পরিকাঠামো রীতিমত টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কলকাতার নামিদামি বেসরকারি কোন হাইটেক স্কুলের সঙ্গে। আপাতত যা সাড়া ফেলেছে গোটা এলাকায়। তবে এসবই সম্ভব হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক ও স্কুল পরিচালন কমিটির উদ্যোগেই। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে কী এমন অভিনব পরিকাঠামো রয়েছে এই স্কুলে? কেনইবা হঠাৎ এমন পরিকল্পনা? বিষয়টা তাহলে খোসা করেই বলা যাক!

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই স্কুলে শিক্ষক দিবসের দিন চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল এটেন্ডেন্স সিস্টেম। স্কুলের সব পড়ুয়ার জন্যই তৈরি হয়েছে এই ডিজিটাল পরিচয় পত্র। প্রতিদিন স্কুলে ঢোকার মুখে সেই পরিচয় পত্র স্বয়ংক্রিয় এটেন্ডেন্স মেশিনের সামনে ধরতে হবে। এরফলে স্কুলে ওই পড়ুয়ার উপস্থিতি যেমন একদিকে স্কুলের সার্ভারে আপলোড হয়ে যাবে, একইসঙ্গে তার অভিভাবকের মোবাইল ফোনেও এসএমএসের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে যাবে যে তাঁদের সন্তান স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে। একই ভাবে স্কুল ছুটির সময়ও ওই ডিজিটাল পরিচয় পত্র মেশিনের সামনে ধরতে হবে পড়ুয়াদের। তখনও ঠিক একইভাবে অভিভাবকদের কাছে বার্তা পৌঁছবে যে স্কুল ছুটি হয়েছে। পড়ুয়াদের সুরক্ষায় স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরাও।

অত্যন্ত সুন্দরবনে এবার ডিজিটাল স্কুল! খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক

হঠাৎ বদলে গেল এই ‘বিখ্যাত’ স্টেশনের নাম! আসল কারণ জানলে স্যালুট জানাবেন আপনিও

তবে শুধু ডিজিটাল এটেন্ডেন্স মেশিন নয়! আরো একাধিক বিষয়ে এই স্কুল আর পাঁচটা সাধারণ সরকারি স্কুলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। ইতিমধ্যেই স্কুলে চালু হয়েছে ডিজিটাল ক্লাসরুম। অডিও ভিসুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছেলে মেয়েদের পোড়ানোর ব্যবস্থা যেমন এখানে রয়েছে, তেমনি স্কুলের সমস্ত দেওয়াল, কংক্রিটের স্তম্ভগুলিকে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয়। ১৫ই আগস্ট, ২৬ শে জানুয়ারির মতো বিশেষ দিনের পরিচয় থেকে শুরু করে নানা ধরনের সামাজিক বার্তা, ছড়া, মনিষীদের ছবি ও পরিচয় থেকে আরও অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেখানে। এছাড়াও স্কুলে রয়েছে ভেষজ উদ্যান, আমার দোকান, মনের কথা বক্স সহ আরও অনেক কিছু।

পড়ুয়াদের সুরক্ষার পাশাপাশি এমন অভিনবভাবে বর্তমান প্রজন্মকে পুঁথিগত শিক্ষার সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রেও আলোর দিশা দেখাচ্ছে এই বিদ্যালয়। যা সত্যিই নজির বিহীন বলা যেতেই পারে।

ট্রেন্ডিং খবর