প্রতীক্ষার অবসান
কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১৩ বছর। কখনও জমি জট কিংবা অন্য কোন কারণবশত চালু করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ব্রডগেজ ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত রেললাইন পাতা ছিল। কিন্তু বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই রেললাইন থেকে ছোটেনি ট্রেন। অবশেষে ২০২৩ সালে ফের ছুটল ট্রেন কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ লাইনে। শনিবার ধোঁয়া উড়িয়ে এবং হুইস্ল বাজিয়ে ছুটে চলল একটা রেলইঞ্জিন! যা দেখে ফের আশার সঞ্চার স্থানীয় বাসিন্দাদের। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ফের গঙ্গার পূর্ব পারে কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ ঘাট রেলপথ বেয়ে ছুটে চলল কোনো ইঞ্জিন। যদিও, নবদ্বীপ ঘাট রেলপথের বাকি কাজ অসমাপ্তই থেকে গিয়েছে। সেই কাজ কবে হবে তা নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। মূলত, জমিজটে বন্ধ রয়েছে কাজ। তবে, আগে থেকে ওই রেলপথের যতটুকু পর্যন্ত কাজ হয়েছে সেই অংশেই গত শনিবার বিকেলে ছুটে চলল ডিজেল ইঞ্জিন।
জানা গিয়েছে যে, এদিন সকালের দিকে নতুন রেল প্যানেলবাহী একটি ওয়াগন কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটার উদ্দেশ্যে সফর করে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১২ কিমি পথ দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় সেখানকার রেললাইন খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই, সম্পূর্ণ নতুন রেল প্যানেল বসানো হচ্ছে আমঘাটা পর্যন্ত। জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। এদিকে, ওই রেললাইনের একটি পাশে রয়েছে নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক। পাশাপাশি, রেললাইনের অপর পাশে একটি ঢালাই রাস্তার কাজও শুরু হয়েছে। একটা সময়ে নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে সরাসরি শান্তিপুর পর্যন্ত মোট ২৯ কিমি ন্যারো গেজ রেলপথে ছোট রেল চলত। তবে, ২০১০ সালে পূর্ব রেলের নবদ্বীপ ঘাট-শান্তিপুর ন্যারো গেজ লাইনকে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, ব্রড গেজে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছিল।
ওই বছরই ১৭ জানুয়ারি ওই পথে শেষ বারের মতো সফর করেছিল ছোট রেল। এদিকে, মোট ২৯ কিমি ন্যারো গেজ লাইন প্রথম ধাপে শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর জংশন পর্যন্ত ব্রড গেজ হয়। এর পরে শুরু হয় কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১২ কিমি রেলপথের গেজ পরিবর্তনের কাজ। প্রায় ৮ কিমি কাজের পর শুরু হয় সমস্যা। মূলত, জমিজটের কারণে আমঘাটা থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত অবশিষ্ট চার কিলোমিটার অংশে রেললাইন পাতা যায়নি।
আরও খবর- শরীরের অর্ধেকটাই গাড়ির জানলার বাইরে! ওই অবস্থাতেই চুম্বনে মত্ত যুগল,
প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে বাংলার এই রুটে গড়াতে চলেছে ট্রেনের চাকা, একদশক পর ছুটল রেল ইঞ্জিন
এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, আমঘাটা পর্যন্ত রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং স্টেশনও তৈরি। বর্তমানে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হবে চলবে। আর সেই কারণেই গত শনিবার ইঞ্জিন চলেছে।”
স্থানীয় মানুষ চাইছেন যে ট্রেন চালু হোক। তাই, এখানকার বাসিন্দাদের জন্য ২০২৪-এর জানুয়ারিতে ভারতীয় রেল এই রেলপথকে উপহার দিতে চলেছে।