বিহারে ট্রেন দুর্ঘটনা
একের পর এক ভয়ংকর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকছে ভারতীয় রেল। ওড়িশার করমন্ডল দুর্ঘটনা পর বিহারের বক্সারের কাছে বুধবার রাতে লাইনচ্যুত হয় নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেসের ২১টি বগি। এদিনের ঘটনা কি নিছকই দুর্ঘটনা ? নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ভাঙা রেলওয়ে ট্র্যাক।
পূর্ব মধ্য রেলের জিএম তরুণ প্রকাশ দুর্ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে ক্রেন পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই ট্র্যাকে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। দুর্ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রেলওয়ে তার নিজস্ব পদ্ধতিতে তদন্ত করে। তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ট্র্যাকটি ভেঙেছে কিনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, তিনটি ক্রেনের সাহায্যে ট্রেনটিকে ট্র্যাকের উপর সরানো হয়। যেসব বগিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলিকে দ্রুত সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়। বুধবার রাতে নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেসের যাত্রীরা যখন কামরার মধ্যে ঘুমনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই বিকট শব্দ। কেঁপে উঠল ট্রেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। যাত্রীরা হুড়ুমুড়িয়ে পড়ে যান। কেউ চাপা পড়ে যান সিটের তলায়, কেউ আবার আটকে যান জানালায়। দুর্ঘটনায় ১০০ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে চার জনের।
আরও খবর- রেল লাইনের মধ্যে আটকে গিয়েছে কুকুরের পা! ছুটে আসছে ট্রেন, রেলকর্মীরা যা করলেন….
বিহারে ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি ষড়যন্ত্রের ছক? উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ রেলের
প্রাণ হাতে করে ট্রেন থেকে তখন বেরোতে চাইছেন সব যাত্রীরা। কী হয়েছে না হয়েছে বোঝার সময় নেই। চারদিকে শুধু ধুলো আর অন্ধকার। আর সকলের আর্তনাদ।এসি কামরার কাচ ভেঙে ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। যাত্রীদের উদ্ধারকাজে হাত লাগান তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অকুস্থলে পৌঁছোয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা, এনডিআরএফ, এনডিআরএফ। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।