ভারতীয় রেলের গর্ব বন্দে ভারত
বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেলের গর্ব বন্দে ভারত। ভারতের এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন নিয়ে এখনও দেশজুড়ে যাত্রীদের আগ্রহ তুঙ্গে। এবার প্রতিযোগিতার মুখোমুখি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যেমন গতি তেমন পরিষেবা নিয়ে হাজির হচ্ছে নয়া একটি ট্রেন।
এক ঝলকে দেখলে মনে হবে বিমানের আসন। এটি যে আসলে ট্রেনের কামরা, তা দেখে বোঝা দায়। ঝা চকচকে রূপে আসতে চলেছে র্যাপিডএক্স ট্রেন। এবার বন্দে ভারতকে টেক্কা দিতে আসছে আরও এক দ্রুতগতির ট্রেন। রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেট্রো ও ট্রেনের সংমিশ্রণ হবে এই ট্রেন। তবে সাধারণ ট্রেন ও মেট্রোর থেকে আলাদা হবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে র্যাপিডএক্স। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে এই ট্রেন। ইতিমধ্যেই রেক তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার প্রকাশ্যে এল এই ট্রেনের কামরাগুলির ফার্স্ট লুক। যা দেখে বিশ্বাসই হবে না এ ট্রেন নাকি না প্লেনের ভেতরে!
গত শুক্রবারই উদ্বোধন হয় দিল্লি-মিরাট র্যাপিড রেল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের। বর্তমানে ট্রায়াল রান চলছে এই ট্রেনের। আর সেখানেই দেখা গেল, কেমন হতে চলেছে এই ট্রেনের অন্দরসজ্জা। ঠিক বিমানে যেমন নরম গদি রিক্লাইনার সিট থাকে, তেমনই আসন র্যাপিড ট্রেনের। এছাড়াও ট্রেনে থাকবে ডিজিটাল স্ক্রিন, যেখানে যাত্রীরা দেখতে পাবেন ট্রেনটি কোন রুট দিয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছতে কত সময় লাগবে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রেকে থাকবে ছয়টি কামরা। এর মধ্যে একটি প্রিমিয়াম কামরা ও বাকি পাঁচটি স্টান্ডার্ড কামরা থাকবে। একটি স্টান্ডার্ড কামরা সংরক্ষিত থাকবে মহিলা যাত্রীদের জন্য। যারা প্রিমিয়াম ক্লাসের টিকিট কাটবেন, তাদের জন্য স্টেশনে আলাদা একটি ওয়েটিং লাউঞ্জও থাকবে।
র্যাপিডএক্স ট্রেনের ৫০ শতাংশ মহিলা কর্মী থাকবেন। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শনিবার থেকে এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে এই ট্রেন চলবে। প্রতিটি স্টপেজে বা স্টেশনে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে।
দিল্লি থেকে মিরাটের রুটে মোট ১৪টি স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে এই ট্রেনের। গড় গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থাকবে। ট্রায়াল রানের সময়ে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৪৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
আরও খবর- বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে তাজপুরে মালয়েশিয়ার যুবক, উপভোগ করলেন দুর্গোৎসবের আনন্দ
ঝাঁ চকচকে লুকে বন্দে ভারতে’র থেকেও দ্রুত ছুটবে লোকাল ট্রেন! দাঁড়াবে সব স্টেশনে
৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। যেখানে লোকাল ট্রেনে দিল্লি থেকে মিরাট যেতে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানেই র্যাপিড ট্রেনে সময় লাগবে মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ মিনিট। আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যেই করিডর তৈরি হয়ে যাবে। অন্তত এমনটাই মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।