চালু হলো বিদ্যুতের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার
EKHON BHARAT :- এ যেন ফেলো কড়ি মাখো তেল’ ব্যবস্থার মতো। টাকা দিলেই মিলবে বিদ্যুত! না দিলে নয়। চালু হয়ে গেল বিদ্যুতের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানোর কাজ। এবার এই কাজ শুরু হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে। মূলত সুষ্ঠভাবে বিদ্যুৎ সচল রাখতে এই ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে। এটি এমন একটি মিটার, যা বেসরকারি সিম দ্বারা পরিচালিত হবে। রিচার্জ না করলে নিজে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে যাবে। এক কথায় ‘যেমন পয়সা তেমন বিদ্যুৎ’ পরিষেবা।
আসলে অনেক সময় দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা সুন্দরবন এলাকায় সঠিক পরিষেবা দিতে সমস্যার মধ্যে পড়েছে। যেমন লো ভোল্টেজ, তার ছিঁড়ে যাওয়া, ওভার ভোল্টেজের জেরে বিদ্যুত পরিষেবা ব্যাহত হয়। বিশেষ করে সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। ঝড়ের তান্ডবে সুন্দরবনের একাধিক গ্রাম দিনের পর দিন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে থাকে। কোন একটি সমস্যা দেখা দিলে দু-একদিন পরে গিয়েও ঠিক করা হয় না। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধানে এবার উদ্যোগী হলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। সুন্দরবনে চালু হলো বিদ্যুতের স্মার্ট মিটার।
কী এই স্মার্ট প্রিপেইড মিটার?
বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্মার্ট প্রিপেড মিটার এমন একটি মিটার যা বেসরকারি সিম দ্বারা পরিচালিত হবে। অনেকটা মোবাইলের প্রিপেইড সিস্টেমের মতো। এখানেও আগে রিচার্জ করতে হবে, তারপরে মিলবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। অনেকটা টিভি বা মোবাইলের মতোই এই সিস্টেম। রিচার্জ শেষ হয়ে গেলে নিজে থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে যাবে। টাকা দিলে ফের জ্বলবে আলো জ্বলবে পাখা।
এদিকে এই পরিষেবা চালু হওয়ার কথা জানতে পেরে সমস্যায় পড়ছেন হিঙ্গলগঞ্জের দিনআনা দিন খাওয়া মানুষগুলি। তাদের মতে, আগে পোস্টপেড মিটার ছিল। রিডিং নেওয়া হয়ে গেলে বিল আসতো। তারপরে টাকা পরিশোধ করা হতো। এর জন্য বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যেত। কিন্তু এখন থেকে তা হবে না। অন্যদিকে এই মিটার হ্যাক করে বিদ্যুৎ চুরির ভয়টাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সুন্দরবনের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে অনেকের নেই কোনও মোবাইল ফোন।
আরও খবর- কনস্টেবল নিয়োগেও দুর্নীতি! ৮৪১৯ পদে নিয়োগের প্যানেল বাতিল করে দিল হাইকোর্ট, তোলপাড় রাজ্যে
অবশেষে চালু হলো বিদ্যুতের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার। রিচার্জ করলে তবেই চালু হবে পরিষেবা। এক কথায় ‘যেমন পয়সা তেমন বিদ্যুৎ পরিষেবা’।
যদিও একটা ফোন থেকেও থাকে, কিন্তু একটা মেসেজ আসলেও তারা তা পড়তে পারে না। এই পরিস্থিতিতে তারা কি করে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের সুবিধা নেবেন? তাছাড়া আগে অভাবী পরিবারের লোকেরা বিল মেটাতে না পারলে বিদ্যুৎ অফিসে এসে দু একদিন সময় চেয়ে নিত। কিন্তু এখন থেকে সেই সুযোগ সুবিধা তারা আর পাবে না তাহলে কি টাকা না দিলে ওই কয়েকদিন অন্ধকারে কাটাতে হবে তাদের ? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে।