ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান
ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে রবিবার সকালে জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬.২ ও ৫.৪। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বারবার কম্পন অনুভূত হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা। কারণ তাদের মতে, এর বড়সড় প্রভাব উত্তর ভারতের হিমালয়ের কোলের রাজ্যগুলিতে পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
এদিন সকালে ভারতীয় সময় ৯টা ৬ মিনিট নাগাদ প্রথমবার কেঁপে ওঠে হিন্দুকুশ সংলগ্ন এলাকা। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎস। মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে একই জায়গায় দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য একে ভূমিকম্পের আফটার শক বলে জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে বারবার ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে গবেষকদের দাবি, পৃথিবীর উপরিভাগ বেশ কয়েকটি প্লেটের মাধ্যমে গঠিত। মাঝে মধ্যেই এই প্লেটগুলির সরণ ঘটে। এরফলে একে অপরের সঙ্গে হয় সংঘর্ষও। যার জেরে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
এই বিষয়ে এক ভূবিজ্ঞানীর কথায়, আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটটি সচল রয়েছে। হিন্দুকুশের দিকে এর একটা নট আছে। সেটার থেকে আলাদা হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ওই এলাকা। মূলত সেই কারণেই বারবার কেঁপে উঠছে দেশটি।
উল্লেখ্য়, আগামী দিনে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন সুজীববাবু। ‘হিন্দুকুশের উপরের অংশে ইতিমধ্যেই বরফ পড়তে শুরু করেছে। আর নীচের অংশ প্লেটের সরণের ফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই তাপের তারতম্যও এই এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলবে।’
শুধু তাই নয়, আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘন ঘন ভূমিকম্পের জেরে পশ্চিম আফগানিস্তানের একাধিক জায়গা যেমন পঞ্জশীর বা কান্দাহার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হতে পারে। ভূবিজ্ঞানীদের কথায়, ‘আফগানিস্তানের ভূ প্রকৃতিতে বড় বদল আসতে চলেছে। আর সেটা খুব তাড়াতাড়ি ঘটবে। যার প্রভাব টের পাবে উত্তর ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের মতো হিমালয়ের কোলের রাজ্য়গুলি।’
আরও খবর- বিহারে ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি ষড়যন্ত্রের ছক? উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ রেলের
ম্যাপ থেকে গায়েব হবে পারে আফগানিস্তান? একের পর এক ভূমিকম্পে আশঙ্কা ভূবিজ্ঞানীদের
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর শনিবার ও ১১ অক্টোবর বুধবার আফগানিস্তানের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তছনছ হয়ে যায় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয় চার হাজারের বেশি মানুষের। ফের ভূমিকম্প হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে তালিবান শাসকরা। এদিকে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের ফলে চিন্তা বাড়ছে চিনেরও। কারণ আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ লগ্নি করেছে বেজিং।