টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস খান, দেখুন ম্যাজিকের মতো এর উপকারিতা

Follw Us Now

এখন ভারত : দুপুরে খাওয়ার শেষে অনেকেই সারা বছরই টক দই খান। অনেকে আবার শুধুমাত্র গরমকালে টক দই খেতে পছন্দ করেন। কারণ এই সময় স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী টক দই। যাঁরা স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক তাঁদের প্রতিদিনের মেনুতে অবশ্যই থাকে টক দই। আর এই দই যদি ঘরে পাতা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। নিউট্রিশনিস্ট হোক বা ডায়েটেশিয়ান, সকলেই বলেন রোজের খাবারে দই রাখতে। জানেন কি যদি এর সঙ্গে
কিশমিস যুক্ত করেন, তাহলে এর উপকারিতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  সলিউবল ফাইবার। 
কী কী উপকার পাবেন টক দই-এর সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে ?
জেনে নিন ——
টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। দু’রকমভাবে কাজ করে এই মিশ্রণ। চিকিৎসকদের মতে, পাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এমন বাজে ব্যাকটেরিয়াকে বিনাশ করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করে দই কিসমিসের এই মিশ্রণ।
ভারী খাবার বা বেশি মশলা যুক্ত খাবার বদহজমের সম্ভাবনা থাকে। এই সময় দই কিসমিসের মিশ্রণ খেলে পেট ঠাণ্ডা তো করবেই সঙ্গে বুক জ্বালা, গলা জ্বালা, অম্বল থেকেও রেহাই মিলবে চটপট। 
দাঁত এবং মাড়ি শক্ত হয়। পাশাপাশি দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়ানো ছাড়াও  পাইরিয়া দূর করতে অব্যর্থ দাওয়াই।
এতে রয়েছে হাই ক্যালসিয়াম। তাই এই মিশ্রণ গাঁটের ব্যথা দূরীকরণ এবং হাড়ের জোর বাড়াতে কার্যকরী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দইয়ের মধ্যে কিশমিশ মিশিয়ে খেলে চুল সাদা ও রুক্ষ হয় না।
ওজন কমাতে এবং ওবেসিটির হাত থেকে রেহাই পেতে দই কিশমিশ খুবই উপকারী।
পিরিয়ডের কারণে ব্যথায় কষ্ট পেলে দই ও কিশমিশের মিশ্রণ খেতে পারেন। পাশাপাশি এর ফলে প্রিমেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোমের মোকাবিলায় সাহায্য পাওয়া যায়। এটি ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের সাধারণ একটি সমস্যা।
এই দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে দিলে এটি সুপারফুডে পরিণত হয়। যা শরীর সুস্থ রাখতে এবং নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপকে এই মিশ্রণ সহজেই কমাবে।

ট্রেন্ডিং খবর