বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আটক ৩

Follw Us Now

 এখন ভারত : মাঝেমধ্যে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার দাবি করতেন স্বামী ও স্বশুর বাড়ির লোকেরা। জামাই ষষ্ঠী পর স্ত্রীর কাছে দামি বাইক দাবি করেন স্বামী। কিন্ত দাবি মতো বাইক দ্রুত কিনে দিতে পারেননি স্ত্রী। এর ফলস্বরূপ স্ত্রীর উপর শুরু হল মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। প্রতি মুহুর্তে খোঁটা ও মৃত্যুর প্রচনা দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। 

কালনার সমুদ্রগড়ের আদর্শ পল্লী এলাকায় গৃহবধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বধুর ঝুলন্ত দেহ। নাদনঘাট থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই বধূর নাম মিতালি বসাক। বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর স্বামী সুরজিৎ বসাক বাপের বাড়ি থেকে টাকার আনার জন্যে দাবি করত।  কিছু টাকা দিলেও পরে একটি দামি মোটর বাইকের জন্য গৃহবধূকে চাপ দিত বলে অভিযোগ। তবে গৃহবধূ তার বাপের বাড়িতে বলে মোটরবাইক কিনে দেওয়ার জন্য রাজিও করিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা একবারে টাকা না দিতে পারায় প্রথমে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে মন ভরেনি জামাইয়ের। তাই প্রায় দিনই এ নিয়ে খোঁটা দিত ওই গৃহবধূকে। জামাই ষষ্ঠীর কয়েক দিন বাদেই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল খাওয়াদাওয়ার। আর সেখানেই সর্বসম্মুখে ওই গৃহবধূকে বাইক নিয়ে খোঁটা দেওয়ার জন্যই সে আত্মঘাতী হয়েছে। এমনই দাবি মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনের। ঘটনায় নাদনঘাট থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাবা অখিল বসাক। এই ঘটনায় যুক্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ট্রেন্ডিং খবর