এখন ভারত : ‘রাখে হরি মারে কে’। এটি যে শুধু প্রবাদ বাক্য তা নয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাস্তবেও তা সত্যি প্রমাণিত হয়। ঠিক যেমনটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের এই শিশুটির ক্ষেত্রে। ৩০ ফুট উঁচু ব্যালকনি থেকে নিচে পড়ে একরত্তি শিশু যা কান্ড ঘটাল, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সটান উঠে দাঁড়িয়ে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে নিজের ঘরে চলে গেল সে। সিসি ক্যামেরায় ঘটনাটি ধরা পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখতেই নেটবাসীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে কীভাবে সম্ভব হয়েছে এটা?
অলৌকিক বললেও বোধহয় কম বলা হবে। টুইটারে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে শিউরে উঠছেন অনেকেই। অত উঁচু থেকে পড়েও দিব্যি উঠে দাঁড়াল শিশুটি। কিন্তু বাঁচারই তো কথা ছিল না! শুধু তাই নয়, পরক্ষণেই হেঁটে চলে গেল নিজের ঘরের দিকে। ভিডিওতে গোটা ঘটনা দেখে স্তম্ভিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার রিসোদ টাউনের মহানন্দা কলোনির ঘটনা এটি। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া কাণ্ড দেখে যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না প্রত্যেকেই। সকলের মনে একই প্রশ্ন কীভাবে সম্ভব হয়েছে এটা? যদিও শিশুটি বেঁচে যাওয়ায় সকলেই খুশি। টুইটারে ভাইরাল ভিডিও দেখে অনেকেরই বক্তব্য, এ তো অলৌকিক! জানা গিয়েছে, শিশুটির বয়স মাত্র ৪ বছর। ব্যালকনিতে খেলছিল সে। খেলতে খেলতে আচমকাই কোনওভাবে শরীরে ভারসাম্য হারিয়ে ৩০ ফুট নিচে গিয়ে পড়ে যায় ওই শিশুটি। প্রথমে নিচে দাঁড় করানো বাইকের সিটের উপর পড়ে শিশুটি। তারপর সেখান থেকে পিছলে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে।
শিশুটির উপর থেকে পড়ে যাওয়া দেখলে, তার বাঁচার আশা করবে না কেউ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে নিচে পড়েই সটান উঠে দাঁড়ায় সে। এরপর হাঁটতে হাঁটতে ঘরে ঢুকে যায়। এমন অলৌকিক কাণ্ড ঘটনার পিছনে কারণ হিসেবে অনেকেরই অনুমান, স্বম্ভবত সরাসরি মেঝেতে না পড়ে গদিওলা বাইকের সিটের উপর পড়াতেই ওই ‘অলৌকিক’ কাণ্ড ঘটেছে। তবে যেভাবেই বেঁচে যাক না কেন, মৃত্যুর মুখ থেকে সন্তান মায়ের কোলে ফিরে এসেছে কথা ভাবতেই চোখে জল নেটিজেনদের।