এখন ভারত : একটি পা নেই, অথচ সেই প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে প্রতিদিন প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে স্কুলে পৌঁছায় জম্মু ও কাশ্মীরের হান্দওয়ারারের পারভেজ। সম্প্রতি তার এই জীবন যুদ্ধের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের নওগায় একটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে পারভেজ। তার লক্ষ্য ভবিষ্যতে বড়ো ডাক্তার হওয়া। পারভেজের স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘ও খুব পরিশ্রম করে। পড়াশোনা ছাড়াও অন্যান্য কাজেও যোগ দেয়। আমরা চাই ও সামনের পথে এগিয়ে যাক।’
ছেলের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে পারভেজের বাবা গোলাম আহমেদ বলেন, ‘ও খুব ছোটো বয়সে এক অগ্নিকাণ্ডের কারণে পা হারায়। পারভেজের সঙ্গে যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী হার্টের রোগী। আর পারভেজের চিকিৎসার জন্যও ৩ লাখ টাকা দরকার ছিল। আমি সমস্ত সম্পত্তি বেচতে বাধ্য হই। আমি সরকারের কাছে আমার ছেলেকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করতে চাই।’
এক সাক্ষাৎকারে পারভেজ জানায়, ‘আমাদের এখানে রাস্তা ভালো নয়। আর আমাকে স্কুলে যেতেই হবে। তাই এক পায়ে ভর দিয়েই স্কুলে যাই। তবে যদি আরেকটি কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়া যায়, তাহলে হাঁটতে সুবিধা হবে।’ ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই জয়পুর ফুট ইউএসএ-র প্রধান প্রেম ভান্ডারী, পারভেজের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তাকে বিনামূল্যে কৃত্রিম অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রেম বলেন, ‘পারভেজের জীবনযুদ্ধের ঘটনাটি শোনার পর আমি ওর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি ও তাকে বিনামূল্যে কৃত্রিম অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নিই।’