এখন ভারত : রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে শুধু নিজের সুরক্ষার কথা নয়, একই সঙ্গে সামনের জন্য সুরক্ষার কথাও ভাবতে হয়। তাই রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় যেমন একদিকে ট্রাফিক সিগন্যালের দিকে খেয়াল রাখতে হয়, তেমনই ইনডিকেটরের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। আবার স্পিড লিমিট, গাড়ি রিপায়ারের জায়গা বা পার্কিয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।
এত কিছু নজর রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নতুন শিক্ষার্থীদের। তার ওপর যদি অজানা পথ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই! তবে গাড়ি চালানোর সময় যেভাবে অজানা রাস্তায় পথ দেখায় গুগল ম্যাপ, তেমনই স্পিড লিমিট সম্পর্কেও এবার থেকে গাড়িচালককে অবগত করবে গুগল ম্যাপ। গুগল ম্যাপের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা কিন্তু অনেকেরই অজানা। প্রায়ই দেখা যায় গাড়ি গতি বাড়ার ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন যাত্রীরা। আবার ট্রাফিক রুল অমান্য করলে ট্রাফিক পুলিশ বা প্রশাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিসিটিভি ক্যামেরায় চোখে পড়লে মোটা অংকের চালানও ভরতে হয়। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে গুগল ম্যাপের স্পিড লিমিট ওয়ার্নিং অপশন।
এর বৈশিষ্ট হল যখনই গাড়ির গতি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করবে সঙ্গে সঙ্গেই একটি নোটিফিকেশন প্রদর্শিত হতে থাকবে স্ক্রিনে। এর ফলে গাড়িচালক সতর্ক হতে পারবেন। স্পিড লিমিট অতিক্রম করলে গুগল ম্যাপের স্পিডোমিটার রঙ পরিবর্তন হতে থাকবে। একইসঙ্গে এটি নির্দেশ করবে যে সামনেই বিপদ। স্ক্রিনে ভ্রমণ সময়কালের উপরের বাম কোণে স্পিড লিমিট সেকশনে এই রঙ পরিবর্তন দেখা যাবে। গাড়ি চালানোর সময় যেমন ইন্ডিকেটরের দিকে খেয়াল রাখতে হয় তেমনই এই বিষয়টিতেও খেয়াল রাখলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
যেভাবে ধাপে ধাপে স্পিড লিমিট ব্যবহার করবেন-
১. সর্বপ্রথম গুগল ম্যাপ ওপেন করুন। এবার গুগল ম্যাপের উপরে ডান দিকে কোণে প্রোফাইল ফটো সেকশনে যান।
২. এখানে সেটিং অপশনে ক্লিক করার পর নেভিগেশন সেটিং অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩. স্পিড লিমিট বলে একটি অপশন রয়েছে। এটা অন করতে হবে।
৪. স্পিড লিমিট অপশন চালু করার সাথেই স্পিডোমিটার বৈশিষ্ট্যটি কাজ করা শুরু করবে।