Ekhon Bharat Desk: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে। এবার বিশেষ তৎপরতা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের। ছাত্রীদের নিরাপত্তায় গার্লস স্কুলে সিসিটিভি বসাতে বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই একশোরও বেশি গার্লস স্কুলে শুরু হয়েছে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ৷ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্বিবদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডু৷ পরের দিনই ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর৷ ঘটনায় হস্টেলের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে রেগিংয়ের অভিযোগ তোলে মৃত ছাত্রের পরিবার৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় যাদবপুরের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র মিলিয়ে ১৩ জনকে। এরমধ্যে ইতিমধ্যেই ১ জন জামিন পেয়েছেন। সম্প্রতি নবান্নে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ছেলের মৃত্যুর বিচার চান নিহত ছাত্রের বাবা-মা৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই উদ্বেগ নাগরিক মহলে। চিন্তায় রাজ্য সরকারও। এই আবহে সরকারি স্কুলের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল৷ স্কুলে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যাতে সহজেই তা ট্র্যাক করা যায় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবার তাই ছাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যজুড়ে মোট ১৫৯টি গার্লস স্কুলে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ১৫৯ টি গার্লস স্কুলেই নয়, এর পাশাপাশি ১৫১ টি গার্লস হস্টেলেও সিসিটিভি বসাচ্ছে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যজুড়ে বাকি গার্লস স্কুলগুলিতেও সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিরাপত্তার কথা ভেবে গোটা প্রক্রিয়াটি ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলাতেই স্কুল চিহ্নিত করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ও ক্যাম্পাসের সমস্ত গেটে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বরাত গিয়েছে ওয়েবলের কাছে। খরচ হতে চলেছে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। অর্থ মঞ্জুরও করেছে শিক্ষা দফতর। অন্যদিকে র্যাগিং রোধে ইসরোর সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে যাদবপুর। ক্যাম্পাস ঘুরেও দেখে গিয়েছেন ইসরোর প্রতিনিধিরা। শোনা যাচ্ছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের সাহায্যে চলতে পারে নজরদারি।