EKHON BHARAT :- অফিস পাড়ার ফুটপাথে রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে ভাতের হোটেল চালান তিনি। কিন্তু এবার হয়ত রাস্তার ধারের পাইস হোটেলটা বন্ধই করে দিতে হবে। একরাশ হতাশার আশঙ্কা সঙ্গে এই কথাই জানালেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন স্মার্ট দিদি নন্দিনীরই কথা হচ্ছে। যাকে নিয়ে ইউটিউবারদের মাতামাতি কারও কারও কাছে ‘অসহ্য’ও মনে হয়। যদিও নন্দিনীর ভাতের হোটেলের খাবার খেতে, বলা ভালো নন্দিনীর হাত থেকে খাবার খেতে বাংলাদেশ থেকেও মানুষ ছুটে এসেছেন ভারতে। অথচ সেই নন্দিনীই মনে একরাশ কষ্ট নিয়ে সম্প্রতি এক ইউটিউবারকে জানালেন, এবারে হয়তো তাঁর এই রাস্তার ধারের পাইস হোটেলটাই বন্ধ করে দিতে হবে।
মাঝেমধ্যেই নন্দিনী দিদির নানা কর্মকাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ফের ভাইরাল এক ভিডিয়োতে দেখা গেল এক ইউটিউবারকে নন্দিনী বলছেন, ‘দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস।’ স্বভাবতই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তিনি নতুন কোনও জায়গায় স্থায়ী দোকান দিয়েছেন। নাকি ফুটপাথ থেকে তাঁকে জোর করে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে? যদিও এর সঠিক কারণ কিছু জানা যায়নি। এক কথায়, এই নিয়ে এখন কিছুই খোলসা করতে চাননি তিনি।
ভিডিওতে তাকে শুধু বলতে শোনা গেল, ‘বলব, বলব… তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব। তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি। পাঁচজন থেকে প্রায় দেড়শো জন (গ্রাহক), যাই পেয়েছি তোদের জন্যই পেয়েছি।’ যদিও এর পাশাপাশি আগামী দিনের স্বপ্ন নিয়ে ক্ষুব্ধ নন্দিনীকে এও বলতে শোনা গেল, ‘যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই।’
কেউ উঠলেই লোক টেনে নামায়’! নন্দিনীর জনপ্রিয়তায় ‘হিংসে’, বন্ধের পথে ডালহৌসির ভাতের হোটেল?
ওভারব্রিজ তৈরির জের, হাওড়া-বর্ধমান লাইনে সোমবার পর্যন্ত বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন
মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী গাঙ্গুলী বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। করোনা-পরবর্তী সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকে এর পিছনে সময় দেওয়া শুরু করার পর থেকেই ডালাহৌসির এই দোকানটিকে দাঁড় করাতে ঢেলে দিয়েছেন আগাধ পরিশ্রম। দিনের বেশিরভাগটা সময় তো এখানে ব্যয় করেছেনই সঙ্গে নিজের সেভিংস সমস্তটাই দিয়ে গেছেন দোকানটির পিছনে।
নন্দিনীর ভাইরাল হওয়া ‘দোকান বন্ধ হতে পারে’ ভিডিয়োটি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি কারও বা কিছু মানুষের হিংসের কারণেই ফের কাজহারা হতে চলেছে লড়াকু এই মেয়েটা ও তাঁর পরিবার? যদিও এমন আশংকার পেছনে সঠিক কারণ বলতে পারবেন নন্দিনী নিজেই।