বড় আপডেট আবহাওয়া দপ্তরের
দুর্গা পুজোর এই কয়েকটা দিনের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুজোর সঙ্গে জড়িত সবাই। থাকে নানান পরিকল্পনা, দিদার খাওয়া আড্ডা ঘুরতে যাওয়ার সবকিছুই। কিন্তু দিন কয়েক ধরে বৃষ্টি যেভাবে খেল দেখাচ্ছে তাতে সকলের মনে আশঙ্কা পুজোর আনন্দ ভেস্তে দেবে না তো নাছোড়বান্দা এই বৃষ্টি?
আবহাওয়া দপ্তর এ বিষয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছে। পুজোয় রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবারের পর তাও ক্রমশ কমতে শুরু করবে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। পশ্চিমাঞ্চল-সহ কোনও কোনও জেলায় এই সপ্তাহান্তে ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। শুনে রাজ্যবাসী খুশি হবেন যে, অত্যন্ত মনোরম আবহাওয়াতেই পুজো কাটবে।
অন্তত এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের। নবমী দশমীতে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ। উপকূলের জেলায় দু -এক পশলা হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আরবসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা। পশ্চিমের রাজ্যে কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা সিস্টেমের গঠন সম্পূর্ণ হলে জানাবে মৌসম ভবন। যদিও এ রাজ্যে তার কোনও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পং ছাড়া বাকি উত্তরবঙ্গে আজ রাতের পর থেকেই জলীয় বাষ্প কমতে শুরু করবে। তৃতীয়া থেকেই ভোরের দিকে উত্তরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হতে শুরু করবে।
আরও খবর- হঠাৎই বিকট আওয়াজে থামল চ্কা, ফের বিভ্রাট বন্দে ভারতে
ষষ্ঠী থেকে দশমীতে রাজ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা কি রয়েছে? বড় আপডেট আবহাওয়া দপ্তরের
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তৃতীয়া পর্যন্ত জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্প কমে শুষ্ক হবে আবহাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় চতুর্থী থেকে ভোরের দিকে সামান্য হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গেও। তবে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দক্ষিণ আসাম ও সংলগ্ন এলাকায়। তামিলনাড়ুতে অবস্থান করছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। কলকাতায় রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪০ থেকে ৮৫ শতাংশ।