বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
EKHON BHARAT :- আর ৪৫ মিনিট ধরে নয়, এখন থেকে সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট। বন্দে ভারতের প্রতিটি কামরাকে সাফাইয়ের মাধ্যমে পরবর্তী গন্তব্যের জন্য প্রস্তুত করে ফেলা হবে। আর তা করতে সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট। শুনে অসম্ভব মনে হলেও এইভাবে করে দেখাবেন রেল কর্মীরা। ইতিমধ্যে তার ট্রায়ালও হয়ে গিয়েছে। মাত্র ১৪ মিনিটেই ঝাঁ চকচকে হল বন্দে ভারত। রবিবার হাওড়াগামী বন্ধে ভারত এক্সপ্রেসের সাফাই অভিযান হল মাত্র ১৪ মিনিটে।
এদিন বন্দে ভারত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছানোর পর সমস্ত যাত্রীরা নেমে পড়েন। সেই সময় যেন সাফাই অভিযানের ঝড় তোলেন রেলকর্মীরা। শুরু হয় বন্দে ভারত পরিষ্কারের কাজ। রেলের তরফে জানা যায়, প্রত্যেক কর্মীকেই ১৪ মিনিট করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ঠিক হয়, এক একটি কামরায় তিন জন করে কর্মী কাজ করবেন। অর্থাৎ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মোট আটটি কামরায় কাজ করেন ২৪ জন কর্মী। বন্দে ভারতের প্রত্যেকটি কামরা সাফাই হয় মাত্র ১৪মিনিটে। আর একই সময় ১৪ মিনিটের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় গোটা বন্দে ভারতের ট্রেনটি।
পড়ে থাকা জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য ৬ মিনিট, বাইরে থেকে জানলা সাফাইয়ের জন্য চার মিনিট এবং কামরার মেঝে মোছার জন্য চার মিনিট সময় ছিল।ষদুই পর্যায়ে টয়লেট সাফাইয়ের জন্য রাখা হয়েছিল ১১ মিনিট। দুপুর ২ টো বেজে ৫ মিনিটে পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। তারপর ২টা বেজে ১৯ মিনিটে যাত্রীরা ট্রেনে প্রবেশ করেন। আর এই সামান্য সময়ের মধ্যেই ঝা চকচকে হয়ে ওঠে গোটা ট্রেন। প্রসঙ্গত, এই স্কিমটি এ বছরের ১ লা অক্টোবর থেকে সমস্ত ভারতীয় রেলে গৃহীত হয়েছে ৷ ভারত সরকারের ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযানের একটি অংশ হিসেবে শুরু হল এই কাজ।
আরও খবর- বাপু’ না থাকলে অচল টাকা! কেন ভারতীয় নোটে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকে ? জানুন আসল কারণ
মাত্র ১৪ মিনিটেই ঝকঝকে করা হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দেখুন ভিডিও
রেলের তরফে ডি আর এম সুরেন্দ্র কুমার জনিয়েছেন, ‘১৪ মিনিটে মিরাকেল’ এই প্রক্রিয়ার উপর সকলের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হবে। প্রকল্পটি এক মাস পরে আরও উন্নত করা হবে। রেল যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই অভিনব এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” রবিবার সেই ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হলো রেলের (Indian Rail) তরফে। আর পুরো বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে স্টেশনেই উপস্থিত ছিলেন রেলের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত রেলমন্ত্রক সোমবার থেকে দেশের ২৯টি স্টেশনে এই পরিষেবা শুরু করবে।