এবার এই গ্রহে অবতরণ করতে চলেছে ভারত, প্রস্তুতি তুঙ্গে

Follw Us Now

এখন ভারত : বহু বছর আগেই মানুষ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। চাঁদে বসবাসে জন্য শুরু হয়েছে জমি কেনার কাজ। মঙ্গলের মাটিতে পা রেখেও চলছে নানা গবেষণা। এবার শুক্র গ্রহে ভিযান চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি মহাকাশযান প্রস্তুত করছে ইসরো। ২০২২ সালে সংসদে এই তথ্যটিও জানানো হয়েছিল যে, শুক্রযান অর্থাৎ মিশন ভেনাসের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই মিশন দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে। এর মূল উদ্দেশ্য সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কী রয়েছে এবং এটিকে ঘিরে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের রহস্য উদঘাটন করবে মহাকাশযান। এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের একটি অনুষ্ঠানে, ISRO-র তরফে পি শ্রীকুমার জানান , মিশন ভেনাসের উদ্দেশ্য পেলোড অর্থাৎ হাই রেজোলিউশন সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারের মাধ্যমে শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য অনুসন্ধান করা। এর পাশাপাশি ওই গ্রহের পৃষ্ঠের চিত্র তৈরি করা এবং এর জলবায়ু পরীক্ষা-সহ নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো। যদিও বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মিশন ভেনাস খুব একটা সহজ হবে না। কারণ এখনো পর্যন্ত শুক্রের পৃষ্ঠের গঠনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। সেখানে মাত্র ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় ঘন সালফিউরিক অ্যাসিডের মেঘ রয়েছে। এছাড়াও, ওই গ্রহটি ধীর গতিতে ঘুরলেও সেখানে বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হয়। সে ক্ষেত্রে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে পারে অভিযান। ইসরোর চেয়ারম্যান এস. সোমনাথের মতে, ২০২৮ সালের মধ্যে এই মিশন লঞ্চ করা যেতে পারে। ইসরো বর্তমানে এই মিশনের ক্ষেত্রে উৎক্ষেপণের জন্য ২০২৪ সালকে নির্ধারণ করেছে। ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এতটাই কাছাকাছি আসবে যে মহাকাশযানটিকে ন্যূনতম পরিমাণ প্রপেলান্ট ব্যবহার করে কক্ষপথে রাখা যেতে পারে। তবে ২০২৪ সালে অভিযান অসফল হলে, ফের ২০৩১ সালে লঞ্চ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। জানা গিয়েছে, ভারতের ইসরোর পাশাপাশি ২০৩১ সালে NASA এবং ইউরোপিয় মহাকাশ সংস্থাও শুক্র গ্রহে তাদের মিশনের ল্যান্ডিং করতে চলেছে।

ট্রেন্ডিং খবর