এখন ভারত : দেশটিতে মোট ১৯টি জেলখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০১৩ সালে। ২০১৭ সালে আরও ৭টি জেল এই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল । এ বছর বন্ধ করা হচ্ছে আরও চারটি জেল। সারাবিশ্বে যেখানে অপরাধীদের সামলাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে ইউরোপের এই দেশটি ভুগছে আসামি সংকটে। এক এক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশটির জেলখানাগুলো। পরিণত হচ্ছে হোটেলে। ভাবছেন, কোন এমন দেশের কথা বলছি, যেখানে সন্ত্রাসীই নেই! সেই দেশ হলো নেদারল্যান্ড।
২০০৪ সাল থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে নেদারল্যান্ডের এই দুর্ভোগ শুরু হয় । এ সময় হুট করেই দেশের সন্ত্রাসের পরিমাণ কমে যায় । নিজেদের চাকরি হারায় জেলে কর্মরত মোট ২,০০০ হাজার মানুষ । ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তো নরওয়ে থেকে মোট ২৪০ জন কয়েদিকে নেদারল্যান্ডে নিয়ে আসা হয় জেলে ভরার জন্য।
অর্থাৎ সবচেয়ে কম কয়েদির তালিকায় রয়েছে নেদারল্যান্ড আর অন্যদিকে সবচেয়ে বেশির তালিকায় রয়েছে আমেরিকা। তবে এই জেলখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরেকটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ওই জেলখানাগুলোতে কর্মরত প্রায় ২০০০ কর্মী বেকার হয়ে পড়ে। যার ৩০ শতাংশকে পরবর্তীতে আইনশৃংখলা বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস তার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে ইলেকট্রনিক ট্যাগিং ব্যবহার করে। এতে গোড়ালিতে আটকানো একটি যন্ত্র আছে। যা ব্যক্তির প্রতিটি কার্যকলাপ রেকর্ড করে। অনেক অপরাধীকে ডিভাইসটি তাদের শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর ফলে তারা স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটানোর সুযোগ পায়। এভাবে কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের সংস্কারের জন্য একটি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে নজরদারি করে। এছাড়া সেখানকার শিথিল আইন মাদক ব্যবহারের হারও কমাতে সাহায্য করেছে অতীতের তুলনায়।