সূর্য অতীত! এবার সমুদ্রের অতল গহ্বরের রহস্য উন্মোচনে উদ্যোগী ভারত

Follw Us Now

সূর্য অতীত! এবার সমুদ্রের অতল গহ্বরের রহস্য উন্মোচনে উদ্যোগী ভারত

EKHON BHARAT :- চাঁদ, সূর্যের পর এবার গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে উদ্যোগী ভারত। ইতিমধ্যে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ভারত। অন্যদিকে সূর্যের রহস্য ভেদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ISRO-র তৈরি Aditya-L1। কিন্তু অতল সমুদ্রেও লুকিয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য। এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয় জীবনযাত্রার উপরেও বড় প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে গবেষকদের একাংশের অনুমান। আর অতল সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা সেইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু হতে চলেছে ভারতের ‘সমুদ্রযান প্রকল্প’। এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হল-দেশের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি, জীবিকার ক্ষেত্রে উন্নতি, কর্মসংস্থান , সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা।

জানা গিয়েছে, ভারত খুব শীঘ্রই সমুদ্র মিশনের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে। সমুদ্রযান একটি সম্পূর্ণ দেশীয় মিশন হতে চলেছে। ‘মৎস্য ৬০০০’ একটি সাবমার্সিবল, যা টাইটানিয়াম মিশ্রণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ছয় হাজার মিটার গভীরতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ছ’শো গুণ চাপ সহ্য করতে সক্ষম। এই ডুবোজাহাজের ব্যাস ২.১ মিটার। এই জল যানের মাধ্যমে তিন জনকে ১২ ঘণ্টার জন্য ৬ হাজার মিটার গভীর সমুদ্রে পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ৯৬ ঘণ্টা যাতে জলের নীচে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সাবমারসিবলে করে অতল সমুদ্রে পাঠানো হবে। সমুদ্রের তলদেশে কী কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা জানার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকর হতে পারে এই মিশন।

সূর্য অতীত! এবার সমুদ্রের অতল গহ্বরের রহস্য উন্মোচনে উদ্যোগী ভারত

আরও ৭৫ লাখ মহিলাকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ , রান্নার গ্যাস নিয়ে নয়া ঘোষণা কেন্দ্রের

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ২০২৬ সাল নাগাদ এই প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে। এই সমুদ্রযানটির নকশা এবং কাঠামো তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউশন অফ ওশিয়ান টেকনলজি-কে। এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হল-দেশের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি, জীবিকার ক্ষেত্রে উন্নতি, কর্মসংস্থান , সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা। ভারত এই প্রথম কোনও সমুদ্র অভিযানের পরিকল্পনা নিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স এবং চীনের পরে ভারত ষষ্ঠ দেশ হিসেবে মনুষ্যবাহী সাবমার্সিবল তৈরি করার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে। তবে কোনওভাবেই যাতে ইকো সিস্টেমকে এই অভিযান ব্যাহত না করে সেই দিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এটি ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে পরীক্ষার জন্য চেন্নাই উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগরে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ট্রেন্ডিং খবর