ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির
EKHON BHARAT :- অন্ধকারে রেল গেট টপকে লাইন পার হতে গিয়ে বিপত্তি। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। দলা পাকিয়ে গেল দেহ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চলল স্টেশনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে এল রেলের বিশাল পুলিশ বাহিনী। চলল জনতা-পুলিশ ধস্তাধস্তি। রাতভর ব্যাপক উত্তেজনা স্টেশন চত্বরে। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে রইল রাস্তা। ঘটনাস্থল হুগলির গোবরা স্টেশন। অন্ধকার চিরে যে দ্রুতগতিতে এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটে আসছে, সেটা বুঝতেই পারেননি। আর তাই রেল গেট টপকে লাইন পার হতে গিয়েছিলেন। আর এর জেরেই ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা!
সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার গোবরা স্টেশনের রেল গেট বন্ধ ছিল। কিন্তু কোনও ট্রেন আসার ঘোষণা করা হয়নি। তাই রেলগেট টপকে কয়েকজন লাইন পারাপারের চেষ্টা করেন। আর সেই সময়েই ঘটে যায় বিপত্তি। পরপর তিনটি লাইনে তিনটি ট্রেন চলে আসে। যার মধ্যে একটি এক্সপ্রেসও ছিল। ট্রেন দেখে বাকিরা সরে গেলেও, দুর্ভাগ্যবশত একজন সরতে পারেননি। এক্সপ্রেসের ধাক্কায় একেবারে ছিটকে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ডানকুনির চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
আরও খবর- পুজোয় কি বন্ধ থাকবে মদের দোকান? সমস্যায় সুরাপ্রেমীরা! উৎসবের মরশুম শুরুর আগে জেনে নিন
এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত ব্যক্তি! স্টেশনে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার, রণক্ষেত্র গোবরা
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, গোবরা স্টেশন দিয়ে দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন যাতায়াত করে। কিন্তু, কখনও ঘোষণা করা হয় না। এর ফলে কখন ট্রেন আসছে, কোনদিক দিয়ে আসছে, কিছুই বোঝা যায় না। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা দাবি তোলেন, যে কোনও ট্রেনের ক্ষেত্রেই আগাম ঘোষণা করতে হবে। এই দাবি নিয়ে স্টেশনের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। সেই সঙ্গে টিকিট কাউন্টারে চলে ব্যাপক ভাঙচুরও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কামারকুন্ডু জিআরপি থানার পুলিশ।
কিন্তু তাতেও বিক্ষোভকারীদের দমানো যায়নি। পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। শেষে আরপিএফ ও ডানকুনি থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। তাঁদের সঙ্গেও চলে জোর ধস্তাধস্তি। তাঁদেরকে ঘিরেই ওই রাতে বিক্ষোভ শুরু হয় স্টেশন চত্বরে। শেষে পুলিশের তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ থামায় উত্তেজিত জনতা।