তিস্তা পাড়ের ঘুম উড়েছে, নদী গর্ভ থেকে উঠে এল ৪ সেনা-সহ ১৮ দেহ

Follw Us Now

তিস্তা পাড়ের ঘুম উড়েছে, নদী গর্ভ থেকে উঠে এল ৪ সেনা-সহ ১৮ দেহ

তিস্তাই হাজার হাজার মানুষের ঘুম কেড়ে নিল

EKHON BHARAT :- একা তিস্তাই হাজার হাজার মানুষের ঘুম কেড়ে নিল। কেড়েছে প্রাণ, নিঃস্ব অসহায় সম্বলহীন করেছে বহু মানুষকে! কদিনের বৃষ্টিতে কার্যত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। দুকূল ভেসে উত্তরবঙ্গে কার্যত ধ্বংসলীলা চলেছে। এখনও তিস্তার গ্রাস কমছে না বহু এলাকায়। এবার জলস্তর কমতেই সারি সারি মৃতদেহ ভেসে উঠল তিস্তার পাড় থেকে।

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির তিস্তার চর ও সন্ধেবেলা ময়নাগুড়ি থানা এলাকার নানা জায়গা থেকে মোট ১৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর মধ্যে চার জন সেনা জওয়ানও রয়েছে। বাকি ১৪ দেহ সাধারণ মানুষের। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। দেহগুলিকে উদ্ধারের পর জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে।

অন্যদিকে, এখনও রাতের ঘুম নেই কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার, মল্লি ও মংপো এলাকার। তিস্তার জল কমলেও এখনও দুই পাড় ক্রমশ ভাঙছে। তাতেই একের পর এক বাড়ি তিস্তার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকাগুলিতে গিয়ে দেখা গেল প্রচুর বাড়ির নীচ থেকে মাটি ধসে গিয়ে। রীতিমতো বাড়িগুলি ঝুলছে। আবার কোথাও হারিয়ে গিয়েছে পাহাড়ের গাড়ি চালকদের গাড়ি। তিস্তার মধ্যে ৭-৮ ফুট মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছে গাড়িগুলি। পলি সরতেই বেরিয়ে আসছে গাড়ি, মৃতদেহও।

তিস্তায় হড়পা বানে সিকিমের পাশাপাশি কালিম্পং জেলার এলাকাগুলিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিস্তা বাজার এলাকায় গেলে যেন অভিশপ্ত রূপ দাঁড়িয়ে রয়েছে তিস্তার। সেখানে জলে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৪ টি বাড়ি। এছাড়াও প্রচুর দোকান, গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে অসংখ্য মানুষকে খোলা আকাশের নিচে দাঁড় করাল তিস্তা। এতকিছু গ্রাস করেও যেন থামতেই চাইছে না। উল্টে যেভাবে তিস্তার জলোচ্ছ্বাস রয়েছে তাতে এখনও দুপাশে ধস নামছে।

আরও খবর- অভিষেকের ধর্নামঞ্চে হাজির রুজিরা! রাজ ভবনের সামনে সাংসদপত্নীকে দেখে চমকে গেল তৃণমূল নেতৃত্ব

তিস্তা পাড়ের ঘুম উড়েছে, নদী গর্ভ থেকে উঠে এল ৪ সেনা-সহ ১৮ দেহ

রাত জেগে এখন দুর্দশার দৃশ্য দেখছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তিস্তাবাজার সহ কালিম্পঙের বেশ কয়েক জায়গায় প্রশাসনের তরফে রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে এলাকাগুলিতে যাওয়া শুরু হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা, দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন।

ট্রেন্ডিং খবর