কোন জাদুবলে আবার পাল্টে গেল? এই বিরোধী দলনেতার দর বাড়িয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। আজ তিনি মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন না। কথা বলতে পারেন না।’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘বিরোধী দলনেতা ব্যক্তি কুৎসার জায়গায় নিয়ে গেছেন। গড়াপেটা ম্যাচ। রাজ্যপাল আর বিরোধী দলনেতা একসঙ্গে নাটক করে একটা পরিস্থিতি তৈরি করে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করার চেষ্টা। বিলো দ্য বেল্ট আক্রমণ করেছেন তিনি। আমি সেই সময় বিজেপিতে ছিলাম, বলেছিলাম ওঁকে।’
আর সেই ভোট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন দুই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রাজীব ব্যানার্জি। শুভেন্দু অধিকারী কারচুপি করেছেন বলে দাবি করলেন তাঁরা। শনিবার ক্যামাক স্ট্রিটের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজীব বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আবার ভোট হোক। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, স্বচ্ছ ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে? উনি ভোটের দিন বলেছিলেন আমায় নন্দীগ্রামে হেরে গেছি।
জয়প্রকাশ মজুমদারও নন্দীগ্রাম নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘২০২১-এর ফলের পর আমি হেস্টিংস থেকে প্রেস কনফারেন্স করে বলেছিলাম, মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামে জিতছেন, তখন ৫টা হবে। পরে জানলাম, জিতলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। রহস্যময় হেসে বলেছিলেন, ‘জয়প্রকাশদা, অনেক কায়দা করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানা গেল দিলীপবাবু আপত্তি তুলেছিলেন। আমি মিটিংয়ে ছিলাম। এরপর অনেক কেস অন্তরালে পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গেল।’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু, রাজীব এবং জয়প্রকাশ একদলে থাকলেও এখন শুভেন্দু বাদে বাকি দু’জন তৃণমূলে। ভোটের পর ত্রিপুরায় গিয়ে ‘ঘর-ওয়াপসি’ হয় রাজীবের। এদিকে দিনকয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন জয়প্রকাশ। আর এবার সেই পুরনো সতীর্থের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন তাঁরা।