কালনা মহারাজ এক্সপ্রেস
EKHON BHARAT :- ছাত্র ছাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে চাপতে হবে কালনা মহারাজ এক্সপ্রেসে। ট্রেনের মধ্যেই দিব্যি চলে পড়াশোনা। সাধারণত ছোটদের কাছে ট্রেনে চড়া আলাদা এক আনন্দ। তাই এভাবে পড়াশোনা করতে বেজায় খুশি পড়ুয়ারাও। ভাবছেন তো ট্রেনের মধ্যে কেন পড়াশোনা করা হয় ? আর প্রতিদিনই কি এভাবে হয় পড়াশোনা ? পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনাতে গেলেই পেয়ে যাবেন সব প্রশ্নের উত্তর।
ছোট থেকে বড়, ট্রেনে চড়তে কার না ভালো লাগে? আর যদি বসার সিটটা হয় জানালার পাশে, তাহলে তো কোনও কথাই নেই! বাইরের অপরূপ দৃশ্য আর ফুরফুরে ঠান্ডা হাওয়া। মনটা যেনো জুড়িয়ে যায় বিশেষ করে ছোটদের। ঠিক এই রকম এক দৃশ্য দেখা যাবে কালনা মহারাজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দেখে মনে হবে গোটা একটা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে, প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে খুদে যাত্রীর দল। যাত্রীরা উঠলেই যেন ট্রেন টা কু ঝিক ঝিক বলে চলতে শুরু করবে। তবে এই ট্রেন শুধুমাত্র ছোটদের জন্যই!
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুমেধা নাথ জানান প্রধান শিক্ষিকা ট্রেনের ইঞ্জিন, আর ক্লাসরুম গুলো ট্রেনের বগি, কামরা না থাকলে শুধু ইঞ্জিনদিয়ে গোটা একটা আস্ত ট্রেন তৈরি হয় না। আবার ইঞ্জিন যদি না থাকে তাহলে বগিগুলোকেই বা কে টানবে? ইঞ্জিন ও বগি একে অপরের পরিপূরক, এখানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাই হচ্ছে যাত্রী। এই যাত্রীরা পড়াশোনার প্রতিযোগিতায় ছুটেই চলেছে, উঁচু ক্লাসে উঠে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা আবার এই ট্রেনের অপেক্ষায় থাকবে।রং তুলির মাধ্যমে স্কুলের দেওয়ালে আস্ত একটা ট্রেন ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। যা দেখলে বাস্তবের ট্রেন বলেই মনে হতে পারে! ছাত্র ছাত্রীরাও মজা নিচ্ছে এই নতুন সংযোজনের।
আরও খবর- মাত্র ১৪ মিনিটেই ঝকঝকে করা হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দেখুন ভিডিও
গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে ছাত্র ছাত্রীদের চাপতে হয় কালনা মহারাজ এক্সপ্রেসে
ট্রেনে ওঠানামা করতে গেলে কতটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় সেই বিষয়ে বাচ্চাদের মনে ধারণা দেন প্রধান শিক্ষিকা। অন্যান্য সহকারি শিক্ষকরাও জানান ট্রেনটি দেয়ালে ছবি আঁকার পর থেকে বাচ্চাদের মনে আরো আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে স্কুলে আসার জন্য, এমনকি যারা স্কুলে আসত চাই ছিল না তারাও এই ট্রেনের টানে প্রতিদিনই স্কুলে আসছে। স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ৪৩৫ জন। স্কুলটিকে নতুনভাবে সাজানোর পর থেকে ৩৮০ উপরে ছাত্রছাত্রী এখন স্কুলে আসছে, কালনা মহারাজা এক্সপ্রেস প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করে চলেছে। ট্রেন রূপি এই স্কুল এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা তো বটেই বয়স্করাও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন ট্রেনের এই দৃশ্য।