EKHON BHARAT :- Smart Miter reading আর মাত্র মাসখানেক অপেক্ষা। তারপর পুজোর পরেই বদলে যাচ্ছে আপনার বিদ্যুতের মিটার। ডিজিটালের বদলে গ্রাহকদের বাড়িতে বসতে চলেছে স্মার্ট মিটার। ইতিমধ্যেই জরিপের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বদলে যাবে বিদ্যুতের ট্যারিফও। ইতিমধ্যেই জরিপ করার কাজ শেষ হয়েছে। যদি তা মানতে নারাজ গ্রাহকদের একাংশ। প্রতিবাদে বৈঁচি বিদ্যুৎ দপ্তরে আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির বৈঁচি শাখা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সল্টলেক, রাজারহাট, গড়িয়া ও শ্রীরামপুর ডিভিশনের বেশকিছু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পরেই হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসানো হবে এই স্মার্ট মিটার। কিন্তু স্মার্ট মিটার চালু হলে গ্রাহকদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। এমনটাই মনে করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে , স্মার্ট মিটার চালু হবার ফলে একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল কত পরিমাণ এসেছে, সেটা দেখে পরের মাসে বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রিপেইড মিটার চালু হলে আগে দিতে হবে টাকা। সেই টাকা কবে বা কীভাবে শেষ হবে গ্রাহকের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়। কারণ তিনি কোন মিটার রিডিং দেখতে পাবেন না।
Smart Miter reading পুজোর পরেই বাড়িতে বসছে স্মার্ট মিটার! কী কী সুবিধা অসুবিধা এই ব্যবস্থায়?
Bharat ভারত চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় বিশ্বব্যাপী চালের দাম ১৫ বছরে সর্বোচ্চ : দাবি রিপোর্টে
যদিও তার এক সপ্তাহ আগে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে আপনার টাকা শেষ হয়ে আসছে। শীঘ্রই টাকা জমা দিতে হবে। অথবা যদি রাত বারোটার পর টাকা শেষ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তার জন্য আগাম কোন নোটিশ বা বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। অর্থাৎ রিচার্জ শেষ হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। অন্যদিকে এই ব্যবস্থার ফলে বিদ্যুৎ দপ্তরের অনেক কর্মী কাজ হারাবেন। সেই সব পরিবারগুলিতেও কার্যত চরম অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে।
বিদ্যুৎ বিলের যে ট্যারিফ রয়েছে তার পরিবর্তন হবে বলে জানানো হয়েছে। এতদিন ফিক্সড চার্জ প্রতি কেভিএ প্রতিমাসে ছিল ১৫ টাকা। এবার সেটা বেরে হবে ৩০ টাকা। মিনিমাম চার্জ ২৮ টাকা থেকে বেরে হবে ৭৫ টাকা।এই ট্যারিফ গৃহস্তের জন্য ধার্য করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে ডেপুটেশন দেওয়া হয় বলে জানান হুগলি জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক স্বপন দাস।
এ প্রসঙ্গে বৈঁচি বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক পার্থ দত্ত বলেন, সটলেক গোরিয়া রাজারহাট শ্রীরামপুর ডিভিশনের বেশ কিছু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বৈঁচি এলাকাতেও জরিপের কাজ শেষ হয়েছে । পুজো মিটলেই অর্থাৎ ডিসেম্বরের পর থেকেই কাজ শুরু হবে। স্মার্ট মিটার চালু হলে গ্রাহকরা জানতে পারবেন কতটা ইউনিট প্রতিদিন বিদ্যুৎ পুড়ছে, এতে কতটা বিল উঠছে।
এছাড়াও অবৈধভাবে কেউ কিছু করছে কিনা সঙ্গে সঙ্গে তার ফোনে মেসেজ যাবে। সবটাই ডিজিটাল। এতে পরিষেবা অনেকটাই সুবিধা হবে। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই সেটি বিদ্যুৎ দপ্তরের কন্ট্রোলরুমের কাছে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ যাবে। এমনকি বাড়িতে কেউ না থাকলেও বাড়ির বিদ্যুতে কোন সমস্যা হলে সেটি বাড়ির গৃহকর্তা মেসেজে জানতে পারবেন। এক কথায় এই ব্যবস্থা সব দিক থেকে সুবিধাজনক বলে দাবি বিদ্যুৎ দপ্তরের।