নার্সিং হোমে সদ্যোজাত পাচার চক্রের রমরমা
EKHON BHARAT :- অবশেষে ফাঁস হল নার্সিং হোমে সদ্যোজাত পাচার চক্রের রমরমা। অপারেশন থিয়েটারের ২ টেকনিসিয়ান-সহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করল লাভপুর থানার পুলিশ। ২০ হাজার টাকার বিনিময় সদ্যোজাতকে বিক্রি করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারল না পাচারকারীরা। ধরা পড়ে গেলে পুলিশের হাতে। বোলপুরের একটি নার্সিংহোম থেকে এভাবেই প্রায়ই শিশু পাচার হতো। প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে।
জানা গিয়েছে, লাভপুরের বাসিন্দা আজমিরা বিবি নামে এক প্রসূতিকে ২০ সেপ্টেম্বর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের কাছাকাছি একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল৷ সেদিনই একটি শিশুর জন্ম নেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপারেশন থিয়েটার থেকেই সদ্যোজাতকে মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেওয়া হয় লাভপুরের কুর্ণাহারে। সেখান থেকে ফের ৭৫ হাজার টাকায় ওই সদ্যোজাতকে অন্যত্র বিক্রি করা হয়৷ সূত্র মারফৎ জানতে পেরে তদন্তে নামে লাভপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন হেমন্ত মাজি ও স্বরূপ দাঁ নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটারের টেকনিসিয়ান ৷
এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে সদ্যজাতর মা আজমি বিবি, মধুমিতা মণ্ডল, সুজিত মণ্ডল, হাবল মাজি, শেখ কাফি, শেখ মোজাম্মেল হক, জয়ন্ত মাজিকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে নার্সিংহোমের এই ২ কর্মীর প্রত্যক্ষ যোগসাজসে রমরমিয়ে চলত শিশু পাচার৷ অপারেশন থিয়েটারে শিশু জন্মানোর পরেই সুযোগ বুঝে দরদাম ঠিক হয়ে যেত। কখনও বিভিন্ন কৌশলে পরিবারকে রাজি করিয়ে চলত শিশু পাচার। আবার কখনও সন্তান জীবিত নেই বলেও পাচার করে দেওয়া হত সদ্যোজাত শিশুকে৷
আরও খবর- বন্দে ভারতের লাইনে রাখা পাথর, লোহার রড! আপৎকালীন ব্রেক কষলেন চালক, বাঁচল বহু প্রাণ
মাত্র ২০ হাজারে বিক্রি সদ্যোজাতকে, লাভপুরে গ্রেফতার নার্সিংহোমের ২ ওটি টেকনিশিয়ান-সহ ৮
ধৃতদের এদিন বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়৷ বিচারক ৭ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে নার্সিংহোমের অফিসে ঝুলছে তালা। পাত্তা নেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও। কর্তৃপক্ষের তরফে একজন ছিল। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বাঁচতে মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যান৷