মানুষ কুমিরের লুকোচুরি খেলা
EKHON BHARAT :- কয়েকদিন ধরে বেশ লুকোচুরি খেলা চলছিল। আতঙ্কে রেখেছিল বহু মানুষকে। অবশেষে ধরা পরল বন দপ্তরের হাতে। নিশ্চয়ই ভাবছেন আতঙ্কে সৃষ্টিকারী কী তার পরিচয়? বিশাল এক কুমির। কয়েক দিন ধরেই ভাগীরথী নদিতে ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল মস্ত একটি কুমিরকে। তা নিয়ে পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ জল ঘোলার পর শেষমেশ বুধবার বিশাল আকৃতির ওই কুমিরটিকে পাকড়াও করতে সক্ষম হল বনদফতরের কর্মীরা।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে বনদফতরের কর্মীরা এ দিন ভাগীরথীতে অভিযানে নেমে সাত ঘন্টা ধরে চেষ্টা চালায়। জলের মধ্যে চলে মানুষ কুমিরের লুকোচুরি। ঠিক যেন ছোটবেলার কুমির তোমার জলকে নেমেছি খেলার মতন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভাগীরথীর বুকে। অবশেষে ধরা পড়ল কুমিরই। জ্যান্ত কুমীর দেখতে ভাগীরথীর তীরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। আপাতত কুমিরটিকে রাখা হয়েছে কাটোয়ার বনদফতরের অফিসে।
জানা যায়, কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কালিকাপুরে ভাগীরথী নদি পারাপারের ফেরিঘাট। এ দিন ভোরে ফেরিঘাট চালু করতে আসেন ঘাট কর্তৃপক্ষ অভিজিৎ হালদার। তখনই তিনি দেখেন কুমিরের মত দেখতে লম্বা একটা প্রাণী ঘাটের কাছে শুয়ে আছে। ভয়ে ভয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখেন প্রাণীটি সত্যিই কুমির। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট। এর পরেই তিনি গ্রামের মানুষজনকে কুমিরের বিষয়ে জানান। খবর যায় বনদফতরে। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বন দফতরের কর্মীরা সেখানে পৌঁছন। এরপর গ্রামবাসী ও বনদফতরের কর্মীরা একযোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে কুমিরটিকে বাগে আনে।
আরও পড়ুন- কনস্টেবল নিয়োগেও দুর্নীতি! ৮৪১৯ পদে নিয়োগের প্যানেল বাতিল করে দিল হাইকোর্ট, তোলপাড় রাজ্যে
দেখেই আত্মারাম খাঁচা, ভাগীরথীর পাড়ে ঘাপটি মেরে থাকা প্রকাণ্ড এটা কী?
বর্ষায় ভাগীরথী নদিতে জল বাড়তেই কয়েকদিন আগে দেখা মিলেছিল ঘরিয়ালের। এবার ভাগীরথীতে বিশাল আকৃতির কুমিরের মিলল। ফলে আতঙ্কে ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। জেলার বন আধিকারিক নীশা গোস্বামী জানান, ‘কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে ভাগীরথী নদি থেকে যে প্রাণীটি ধরা হয়েছে সেটা ঘোরিয়াল নয় কুমির। বর্তমানে কুমিরটিকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। পরে ভাগীরথী নদির কোন এক জায়গায় সহায়ক পরিবেশে কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। জলে প্রাণীকে ফের জলে পাঠিয়ে আতঙ্ক মুক্ত করা হবে এলাকাবাসীকে।