EKHON BHARAT :- পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে সাধারণত রেল পরিষেবায় অধিকাংশ মানুষের কাছে প্রথম এবং বেশি পছন্দের। এ রাজ্যে প্রত্যেকটা দিন প্রায় লাখ লাখ মানুষ লোকাল ট্রেনে চেপেই নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছোন। কারণ একমাত্র রেল পরিষেবায় সস্তায় দ্রুত অথচ আরামদায়ক ভাবে প্রতিটি মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। প্রত্যক্ষ্য এবং পরোক্ষ্যভাবে রাজ্যের লাখ লাখ মানুষের প্রত্যেকদিনের রুজি রোজগারও নির্ভর করে থাকে এই লোকাল ট্রেনের উপর। আর এই কারণেই মানুষের জীবনযাত্রার লাইফ লাইন হল লোকাল ট্রেন। মুম্বাই শহরের মতো পশ্চিমবঙ্গেরও লাইফ লাইন হল এই লোকাল ট্রেন।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ লোকাল ট্রেনের উপর ভরসা করলেও এর ইতিহাস এমনকি নানা খুঁটিনাটি তথ্য কিন্তু অনেকের কাছেই আজও অজানা। অনেকেই হয়তো জানেন না, ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া এবং হুগলি স্টেশনের মধ্যে প্রথম ট্রেন চালায়। একই দিনে, বালি, শ্রীরামপুর এবং চন্দননগরে ট্রেন থামিয়ে ৩৮.৬ কিলোমিটার রুটে নিয়মিত পরিষেবা শুরু হয়েছিল।
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় যে, তারকেশ্বর রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৮৫ সালের ১ জানুয়ারি শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর শাখা লাইনের ব্রডগেজ প্রথমবারের জন্য উদ্বোধন হয়। পূর্ব রেলওয়ে জোন গঠন হয়েছিল ১৯৫২ সালের ১৪ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি এবং সমগ্র বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে একীভূত হয়ে। পরে অবশ্য একটি চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন লোকাল ট্রেনের চেপে আপনি কর্মস্থলে পৌঁছলেও এই রাজ্যে কতগুলি লোকাল ট্রেন চলে জানেন কি?
প্রতিদিন চড়েন! কিন্তু জানেন কি রাজ্যে প্রতিদিন কতগুলি লোকাল ট্রেন চলে?
সিভিক ভলান্টিয়ারের ঘুষ নেওয়ার ফানি ভিডিও বানাতে গিয়ে কী হাল হল যুবকদের – দেখুন একবার আপনিও
পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবার ইএমইউ পরিষেবার উদ্বোধন করা হয় ১৯৫৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাওড়া বিভাগের হাওড়া-ব্যান্ডেল সেকশনে। ১৯৬৩ সালে, বর্ধমান পর্যন্ত পরিষেবাগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে প্রসারিত হয়েছিল। পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ বিভাগে শিয়ালদহ – রানাঘাট রুটে চালু হয়েছিল। এ রাজ্যের লোকাল ট্রেনের সংখ্যা গুনতে হলে বলতে হয়, ভারতীয় রেলে কলকাতায় ৬৮০, হুগলীতে ৬১২, উত্তর ২৪ পরগণায় ৪৭৪, হাওড়া ডিভিশনে ৪৬০, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৩১৬, নদীয়ায় ২৬২ এবং পূর্ব বর্ধমানে ১৬২টি লোকাল ট্রেন ছুটে চলে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে।