EKHON BHARAT :- টাকা হাতাতে জালিয়াতরা এবার নয়া কৌশল ফেঁদেছে। এবার আর কায়দা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নয়, আপনাকে আঁধারে রেখে আধার কার্ড ও আপনার আঙুলের ছাপ নিয়েই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। যা আধার এনেবল পেমেন্ট সিস্টেম বা এইপিএস (AEPS) নামে পরিচিত। এই লেনদেনের সঙ্গে বেশিরভাগ সাধারণ বহু মানুষই এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও ধারনাই নেই!
এ বিষয়ে এই সাইবার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, কীভাবে দুষ্কৃতীরা অপরাধ চক্র সংগঠিত করছে? এর পাশাপাশি সাইবার জালিয়াতি থেকে বাঁচার উপায়ও বলেছেন তিনি। তার কথায়, ‘আধার এনেবল পেমেন্ট সিস্টেমে ব্যাংক থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা যায়। মানুষের সুবিধার্থে শুধু আধার কার্ড ও থাম্ব ইম্প্রেশন ব্যবহার করে এই টাকা তোলা যায়। কিন্তু মানুষ এটাকে ব্যবহার করার আগেই দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগ নিচ্ছে।
আসলে বর্তমানে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমারা সরকারি পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দিয়ে দিই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ড চাইতে পারে না বা দিতেও বাধ্য নই। প্রপারটি ডকুমেন্ট, দলিল বা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের থাম্ব ইম্প্রেশন আছে। সেখান থেকে এগুলো কালেক্ট করা হচ্ছে। এটাকে তো বন্ধ করা যাবে না। আর সেই সুযোগে আধার কার্ড ও থাম্ব ইম্প্রেশন সংগ্রহ করে টাকা তুলে নিচ্ছে অপরাধীরা। ইতিমধ্যেই কলকাতায় অসংখ্য মানুষ অন্তত দশ হাজার টাকা খুইয়েছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে জালিয়ানদের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব?
নতুন কায়দায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব! বাঁচার পরামর্শ সাইবার বিশেষজ্ঞের
কেউ উঠলেই লোক টেনে নামায়’! নন্দিনীর জনপ্রিয়তায় ‘হিংসে’, বন্ধের পথে ডালহৌসির ভাতের হোটেল?
ওভারব্রিজ তৈরির জের, হাওড়া-বর্ধমান লাইনে সোমবার পর্যন্ত বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন
এ বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ‘প্লে স্টোরে গিয়ে মাই আধার অ্যাপস ইনস্টল করে সেখানে আধার কার্ড রেজিস্ট্রার করে বায়োমেট্রিক লক চালু করা সম্ভব। এরপর আধার কার্ড লক করে দিলেই এই দুর্নীতি আটকানো সম্ভব। আধারকার্ড দরকার পড়লে তখন আনলক করে নেওয়া যাবে। যখন লাগবে না তখন আমরা লক করে দেব। আমরা এটা করতে পারলে এই ধরণের জালিয়াতি বন্ধ করা যায় নিজেদের টাকার নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের এই কাজ করে উচিত। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।