বিশ্ব ভ্রমণ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গানের কথাই মনে পড়ে গেল! “কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা….”। হ্যাঁ পৃথিবীর রূপ রস গন্ধে টানে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে পারলেন না, বেরিয়ে পড়েছেন বিশ্ব ভ্রমণে। গোটা বিশ্বটাকে দেখার নেশায় বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন মালয়েশিয়ার এক যুবক। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে পাড়ি জমাতে চান তিনি। এমন ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দীর্ঘ সময় লাগবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গিয়েছে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরেও ফেলেছেন। আসলে পৃথিবীর সৌন্দর্য তাকে বারে বারে টানে। আর সেই টান তাকে কোনভাবেই ঘরে আটকে রাখতে পারে না।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে মালয়েশিয়ার বাহারুদ্দিন ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার তাজপুর এসে পৌঁছোন। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার অদম্য নেশা তাকে বিশ্ব ভ্রমণে নিয়ে এসেছে।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল পৃথিবীর সমস্ত দেশ ঘুরে দেখার। অনেকের ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয়ে ওঠে না। কিন্তু মালয়েশিয়ার এই যুবক এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। সমুদ্রসৈকতে আসার পর তিনি বেজায় খুশি। এখানে এসে যেন মালয়েশিয়ার মতো ঘরের অনুভূতি পাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন আনন্দে আপ্লুত এই যুবক। গ্রামের মানুষের সঙ্গে হাসিমুখেই কথা বলেন। যদিও ভাষাগত সমস্যার দরুন তাজপুরবাসি তার কথার বেশিরভাগটাই বুঝতে পারছেন না। তবে যারা ইংরেজি বোঝেন তারাই তার সঙ্গে গল্পে মজেছেন।
আরও খবর- আজ যে রাজা কাল সে ফকির’! পুজোর আগে নিঃস্ব ‘বাদাম কাকু’, কেমন আছেন সেই ভুবন বাদ্যকর?
বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে তাজপুরে মালয়েশিয়ার যুবক, উপভোগ করলেন দুর্গোৎসবের আনন্দ
সৈকত শহর এলাকায় এক বিদেশি পর্যটককে এইভাবে এক বিচিত্র গাড়ির মাধ্যমে আসতে দেখে সবাই বেশ অবাকই হয়ে ওঠেন প্রথমে। গাড়ির মধ্যেই থাকা খাওয়া রান্না সমস্ত কিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে তার। গাড়িতেই একটা গোটা সংসার। সকাল সকাল গাড়ির মধ্যেই বানিয়ে ফেললেন এক কাপ চাও। বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার পর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব যে দুর্গা পুজো আসছে তাও তিনি আঁচ করতে পেরেছেন। এর আনন্দ উপভোগও করছেন। চারিদিকে প্যান্ডেলের চিত্র ও আলোক রোশনাই দেখে তিনি প্রথমে হতবাক হয়েছিলেন কিছু একটা অনুষ্ঠান হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বিশ্ব ভ্রমণ করা মুখের কথা নয়। কিন্তু অসম্ভবের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সম্ভব শব্দ বন্ধটি। তাই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন মালয়েশিয়ার এই যুবক।