EKHON BHARAT :- মোটা মানুষদের নড়তে চড়তেই যেন ছয় মাস সময় লাগে। তার মধ্যে যদি বুড়ি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই প্রতি পদে তাদের আমরা ব্যঙ্গ করে চলি। পুলিশ বা যেকোনও ফোর্সে চাকরি করতে গেলে ওজন বেড়ে গেলে মহা সমস্যা! পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে একটা বড় শর্ত হল শারীরিক গঠন ঠিকঠাক রাখা। কারণ বিরাট ওজন থাকলে বা স্থূলকায় হলে দুর্যোগ করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে অসম পুলিশ গোটা বিষয়টি একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না। যাদের বিরাট ভুঁড়ি হয়ে গিয়েছে, ভালো করে ছোটাছুটি করতে পারেন না তাদের কপালে এবার বড় বিপদ। মূলত বডি মাস ইনডেক্স ঠিক রাখতেই হবে। গোটা অসমজুড়ে এই বিশেষ পরীক্ষায় বসতে হল হাজার হাজার পুলিশকে।
মোটা পুলিশদের রাখা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে অসম সরকার। সেখানে কাজ করতে হলে পুলিশকে হতে হবে ছিপছিপে, নির্মেদ। ইতিমধ্যেই পুলিশ কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা করার কাজ হয়েছে। কিন্তু প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী এই পরীক্ষায় ফেল করেছে বলে খবর। তাই এবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এখনই তাদের স্বেচ্ছা অবসরে যেতে হচ্ছে না। তাদেরকে আপাতত তিন মাস সময় দেওয়া হচ্ছে।
নড়তে চড়তেই বেলা শেষ! বিরাট ভুঁড়ির কারণে শাস্তির মুখে অসমের ১৭৪৮ পুলিশ
ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোর ফল! রাতভর অসুস্থ বৃদ্ধাকে মারধর আয়ার, পরিণতি ধরা পড়ল সিসিটিভি ফুটেজ..
এই সময়ের মধ্যেই স্থূলতা কমিয়ে ফেলতে হবে। না হলে তাদের ফের ট্রেনিংয়ে যেতে হবে। আর তারপরেও ভুঁড়ি কমাতে না পারলে কপালে বড় দুঃখ আছে। তবে কোনও শারীরিক সমস্যার জন্য তারা মোটা হয়ে গেলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজে এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, অসম পুলিশে বর্তমানে ৭০ হাজার ১৬১ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭৪৮জন এই শারীরিক পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। মূলত তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই স্থূলকায় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে।