EKHON BHARAT :- জি ২০ সামিটের জন্য একেবারে চোখ ধাঁধানো সাজে সাজ সাজিয়ে তোলা হয় রাজধানী দিল্লিকে। শনিবার শুরু হওয়া দুই দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের জন্য দিল্লিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। সাজানোর জন্য ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, অন্তত সরকারি রেকর্ড এমনটাই বলছে।
রেকর্ড বলছে, ব্যয়গুলিতে তথ্যনুসারে ১২টি বিভাগের জন্য এই টাকা খরচ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কোন কোন খাতে কত খরচ হয়েছে? কোন খাতেই বা বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল ? জি ২০ বৈঠকে যোগ দেন বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতা। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও রাস্তা, ফুটপাথ, রাস্তার সাইনবোর্ড এবং আলোর রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।
নয়টি সরকারি সংস্থা এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অব দিল্লি বা দিল্লি পুরসভা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলি মিলে উদ্যান বিভাগের উন্নতি থেকে শুরু করে জি ২০ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ৭৫ লাখ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে ITPO, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক, দিল্লি পুলিশ, NDMC এবং DDA এই সামিটের মোট খরচের প্রায় ৯৮ শতাংশ বহন করছে।
এক কর্তার মতে, “জি ২০ সামিটের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেশিরভাগ এলাকা NDMC-র আওতায় পড়েছিল। তাই অধিকাংশ ব্যয় বহন করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগগুলি। ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে ITPO দিয়েছে ৮৭ শতাংশ। দিল্লি পুলিশ দিয়েছে ৩৪০ কোটি এবং NDMC দিয়েছে ৬০ কোটি।
জি ২০ সামিটের জন্য কোন খাতে কত খরচ হল? কারা দিয়েছে?
এই গ্রামের সবাই বিষধর কোবরা পোষেন, ছোটদের খেলার সঙ্গীও এই সাপ!
এছাড়াও দিল্লির পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট খরচ করেছে ৪৫ কোটি, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক দিয়েছে ২৬ কোটি, দিল্লি উন্নয়ন নিগম দিয়েছে ১৮ কোটি এবং দিল্লির বন দফতর খরচ করেছে ১৬ কোটি এবং MCD খরচ করেছে পাঁচ কোটি।
এই বিষয়ে এক আধিকারিক বলেন, “যদি রাস্তার ধারে সৌন্দর্যায়নের কাজ ‘কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’ (CSR) এর মাধ্যমে হয়েছে। তা না হলে সেক্ষেত্রে আরও বেশি টাকা খরচ হতে পারত বলে অনুমান। উল্লেখ্য, সামিটে যোগ দিতে আসা কোনও অতিথির যাতে সামান্যতম সমস্যা না হয় সেই দিকে বিশেষ নজর ছিল।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে ২০২৩-২৪-এর বাজেটে জি ২০ সম্মলনের জন্য ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, প্রকৃত খরচ বরাদ্দ বাজেটের তুলনায় চারগুণ বেশি।