EKHON BHARAT :- এ যেন মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীর চেয়ার ফাঁকা পেতেই বসে পড়ল অপর একজন। শুধু তাই নয়, কাজকর্ম করতেও শুরু করেছে। ভাবছেন তো চাকরি ক্ষেত্রে আবার এরকম হয় নাকি? তাও আবার সরকারি চাকরি? আশ্চর্যের বিষয় তাকে বাধা দিতেও দেখা গেল না কাউকে ! স্বাভাবিকভাবে ঘটনার ভিডিও নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আসলে হঠাৎ চেয়ার দখলকারি এই কর্মচারী আপনার আমার মতো সাধারন মানুষ নয়, চার পেয়ে একটি প্রাণী। তাই ট্রেন কখন ছাড়বে? বোলপুর রেলওয়ে স্টেশনে-একথা জানতে আসতেই সকলেই হতভম্ব হয়ে পড়েন! একি! অনুসন্ধান বিভাগে কে বসে আছেন? স্টেশনে তথ্যানুসন্ধান দফতরে কাজ করছে স্বয়ং হনুমান।
বাঁদরের বাঁদরামি দেখছেন’ ! কোন মানুষের অতিষ্টমূলক কাজকর্ম বোঝাতে আমরা সাধারণত এ কথাই বলে থাকি। আর সেই বাঁদরই কিনা রেলের তথ্যানুসন্ধান ঘরে ঢুকে বেয়াদপি করছে? এরকম দৃশ্য দেখা গেল বোলপুর স্টেশনে। একটি হনুমান অফিসে ঢুকে সোজা বসে পড়ে তথ্যানুসন্ধান অফিসারের চেয়ারে। অবশ্য শুধু বসেই থাকেনি, কাজও করেছে। চেয়ারে বসে কম্পিউটারের কীবোর্ডে হাত দিয়ে কাজ করতে দেখা গেল হনুমানজীকে।
এমন এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলে ভিডিয়ো না করে থাকা যায়? বোলপুর শান্তিনিকেতন রেল স্টেশনের রেল দফতরের তথ্যানুসন্ধান অফিসে ঘটে যাওয়া এমন একটি মজার কর্মকাণ্ডের ভিডিয়ো মোবাইল বন্দি হল। যেখানে দফতরের কোনও আধিকারিককে তোয়াক্কা না করে হনুমানটি চেয়ারে বসে কাজ করছে কম্পিউটার কী বোর্ড হাত দিয়ে। এমনকী, পাশে রাখা কাগজ নথি পাতা উল্টে উল্টেও দেখছে। একেবারে মানুষের মতো কায়দাতে কম্পিউটারের কি বোর্ডে টাইপ করতে দেখা যায় হনুমাটিকে। আবার কখনও কম্পিউটার স্কিনে তাকিয়ে মনোযোগ সহকারে কত কিছুই দেখছে।
রেলের তথ্যানুসন্ধান দফতরে কর্মব্যস্ত হনুমানজি! দেখুন ভিডিও
অত্যন্ত সুন্দরবনে এবার ডিজিটাল স্কুল! খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক
হনুমানের এই কর্মকাণ্ডটি ঝড়ের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফেসবুকে বোলপুর শান্তিনিকেতন নামের একটি গ্রুপে ভিডিয়োটি পোস্ট হয়। সকলেই মজার ছলে বিষয়টিকে বেশ উপভোগ করেছেন। মজার মজার সব কমেন্টসও করেছেন। তবে এ বিষয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতন রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এবার হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কতক্ষণ রেল আধিকারিকদের কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল হনুমানজি ?
প্রথমে নিজের মনে যেন কর্মে মনোযোগী হয়ে উঠেছিল সে। চেয়ার ছেড়ে উঠতেই চাইছিল না ! স্টেশনে কর্তব্যরত রেলের অন্যান্য আধিকারিকরাও বিষয়টি দেখার জন্য তথ্যানুসন্ধান ঘরে ছুটে আসেন। শেষমেষ অবশ্য খাবারের লোভ দেখিয়ে ধীরে ধীরে ওই ঘরের বাইরে আনা হয়। রিয়েল আধিকারিকরা বেশ কিছুক্ষণ মজার ছলে বিষয়টি নিলেও অবশেষে হাফ ছেড়ে বাঁচেন তারা। কারণ এতে ব্যহত হচ্ছিল রেলের কাজকর্ম।