এখন ভারত :হাইড্রোজেন ফর হেরিটেজ’ প্রকল্প শুরু করেছে ভারতীয় রেল। এই প্রকল্পের অধীনে ঐতিহ্যবাহী রুটগুলির ট্রেনগুলিকে রুপান্তরিত করা হবে হাইড্রোজেন ট্রেনে। রেল দপ্তরের দাবি, এই ধরনের ট্রেন একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে পর্যটনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
জানা গিয়েছে, মাথেরান হিল রেলওয়ে, দার্জিলিং হিমালয় রেলওয়ে, কালকা সিমলা রেলওয়ে, কাংরা ভ্যালি, বিলমোরা ওয়াঘাই, পাতাপালপানি কালাকুন্ড, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে এবং মাড়োয়ার-গোরাম ঘাট রেলওয়ে-এই হেরিটেজ রুটগুলিতে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আটটি হেরিটেজ রুটের জন্য রোলিং স্টক প্রোগ্রাম 2023-24-এ অনুমোদন দেওয়া 35টি ট্রেন-সেট রেকের প্রতিটিতে ছয়টি কামরা রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই পথ চলা শুরু করতে পারে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন। আপাতত এমনটাই জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।
১৭ তম লোকসভার রেলওয়ের স্থায়ী কমিটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ৩৫টি হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। এর জন্য ট্রেন প্রতি ৮০ কোটি টাকা এবং স্থল পরিকাঠামো প্রতি ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। সারা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও একটি হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চলতে পারে বলে খবর। একবার চালু হলে এটি সবুজ শক্তির দিকে অনেক দূর এবং সঠিক পথে যাবে।
রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হরিয়ানার সোনিপত-জিন্দ শাখায় এই ট্রেনের পরীক্ষামূলক সফর হতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য হেরিটেজ রুটগুলিতে এই ট্রেন চালানো শুরু করবে রেল। আশা করা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাসে বাংলার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে পেতে চলেছে হাইড্রোজেন ট্রেন।
রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো এই ট্রেনেওর সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। এই ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে বন্দে মেট্রো। রেলের আধিকারিকদের মতে, ডিজেলের বদলে হাইড্রোজেন দিয়ে ট্রেন চালালে অপেক্ষাকৃত খরচ কম হবে বলে আশা রেল আধিকারিকদের। তাছাড়া কম ভাড়ায় যাত্রীরা যাতে বেশি স্বচ্ছন্দ ভোগ করতে পারেন সেই কথায় মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা।