Ekhon Bharat :- ‘ইন্ডিয়া নয়, দেশের নাম রাখা হবে ভারত। ইন্ডিয়া-ভারত বিতর্কে আরও ঘি ঢেলে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এই দাবি জানিয়েছেন। তাঁর হুঙ্কার, “ইন্ডিয়া নয়, দেশের নাম রাখা হবে ভারত। যাঁর বা যাঁদের পছন্দ হবে না, তাঁরা দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন।” ইন্ডিয়া না ভারত? দেশে তৈরি হওয়া নতুন বিতর্ক প্রতিদিনই নতুন মাত্রা নিচ্ছে। বিরোধীরা যখন এই নিয়ে সরব, তখন ‘ভারত’-এর পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিকে দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল ও সিপিএম। তাদের কটাক্ষ, দলে কল্কে পান না দিলীপ। তাই ভেসে থাকতে এসব উল্টো-পাল্টা মন্তব্য করছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার খড়গপুরে খড়্গপুরের ডিভিসি মার্কেটে এক চায়ে পে চর্চায় হাজির ছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই ইন্ডিয়া-ভারত বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়, “India নয়, দেশের নাম রাখা হবে শুধুমাত্র ভারত।” যারা এর বিরোধিতা করবেন তাদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার নিদান দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। শুধু তাই নয়, তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন, “সব পালটাচ্ছে। পালটে দেব আমরা। কারোর হিম্মত নেই আটকে রাখার।” তাঁর প্রশ্ন, “যার আজ বিরোধিতা করছে…তামিলনাড়ু যেমন, তাহলে মাদ্রাজকে চেন্নাই করা হল কেন? ভারতের বেশির ভাগ বড় শহরের নাম পালটে গিয়েছে।” এরপর কলকাতার রাস্তায় ব্রিটিশ আমলের মূর্তি উপড়ে ফেলার কথাও শোনা যায় তাঁর গলাতে।
এই বিষয়ে প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “ব্রিটিশ, পর্তুগিজ, মোঘলরা হাজার বছর দেশকে পদদলিত করে রেখেছিল। তাঁদের কোনও চিহ্ন ভারতে থাকবে না। কলকাতার রাস্তায় বহু ব্রিটিশদের মূর্তি ছিল। এখন ক’টা আছে? একটা দু’টো এখনও রয়েছে। কিন্তু সব তুলে উপড়ে ফেলব, শুধু বিজেপি ক্ষমতায় আসুক।” উড়ে ফেলা মূর্তি মিউজিয়ামে ঠাঁই নেবে বলেও আগাম জানিয়েছেন তিনি। আর রাস্তায় বসবে ভগীরথের চিহ্ন। শঙ্করাচার্যের মূর্তি।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল ও সিপিএমের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, “দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে বিজেপি অংশ নিয়েছিল? ওরা তো মুচলেকা দিয়েছিল। ক্ষমা চেয়েছিল। ওরা কীভাবে স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে। আসলে দলে কল্কে পাচ্ছে না দিলীপ ঘোষ। তাই ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “দলেই ওঁকে কেউ পাত্তা দেয় না বলে এসব কথা বলছেন।