সিকিমে হড়পা বান
EKHON BHARAT :- মেঘভাঙা বৃষ্টি-হড়পা বানে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তিস্তা। চারিদিকে হাহাকার!” তিস্তার জল কমতেই মিলছে একের পর এক দেহ। সিকিমে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬-তে। সিকিম সরকারের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তারা ইতিমধ্যে সিকিমে ২৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তা নদীর অববাহিকা থেকে ৩০টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তাই সিকিমে বন্যায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬।
সিকিমে বিপর্যয়ের প্রায় চারদিন পার, কিন্তু এখনও এর প্রভাব কাটেনি। প্রসঙ্গত, কয়েক মিনিটের বিপর্যয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে সিকিম। হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিমের চুংথাং, রংপো, মানগান সহ একাধিক অঞ্চল। তিস্তার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে বিপর্যয়ের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তিস্তার জলে এখনও ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, তারা তিস্তা নদীর অববাহিকা শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। সিকিম সরকারের মতে তারা মাঙ্গান থেকে চারটি মৃতদেহ এবং গ্যাংটক থেকে ছয়টি মৃতদেহ এবং পাকিয়ং জেলা থেকে ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তার মধ্যে রয়েছে ৭টি সেনার মৃতদেহ। সিকিম সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শিখলে এখনো আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক।
সিকিম সরকার জানিয়েছে যে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষ এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ১৮০০ টি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আড়াই হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিস্তা-ভি হাইড্রোপাওয়ার স্টেশনের সব সেতু ডুবে গেছে বা ভেসে গেছে। উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে রয়েছে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং জানান, সেখানে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও খবর- চোখের সামনে দেখলাম তিস্তায় ভেসে গেল ছেলে মেয়েরা, সিকিমে ৬ ঘণ্টা গাছে আশ্রয় অসহায় বাবার
মৃত্যুপুরী! সিকিমে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬, বাংলাতেই উদ্ধার ৩০ দেহ
যারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এবং ত্রাণ শিবিরে আছেন তাঁদেরকেও আপাতত ২ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে হড়পা বানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মঙ্গন এলাকায়। সেখানেই ভেঙে গিয়েছে চুংথাং জল বিদ্যুৎ প্রকল্পর বাঁধ। শনিবার সকালে মঙ্গন এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, মঙ্গন এবং সিকিমের অন্য এলাকায় আগামী ৪-৫দিন বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।