এখন ভারত : প্রতিদিনের একঘেয়েমি কর্মব্যস্ততা থেকে রিলাক্স পেতে ধারে কাছের ছোট্ট ট্যুর মানেই দিঘা। তবে বারবার একই জায়গায় গেলে নতুনের স্বাদ আর মেলে না। তাই পর্যটকদের কাছে দিঘাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও নির্বাচনে জিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন দিঘাকে গোয়ার মতোই বিখ্যাত সমুদ্রতটে পরিণত করবেন, তার ধারেকাছে না থাকলেও দিঘাতে কাজ হয়েছে। এবার দিঘাকে সাজানোর জন্য নয়া পদক্ষেপ করেছে সরকার।
দিঘা ঘুরতে গেলে সমুদ্রের জলে ঝাঁপ দেওয়া, সমুদ্রতটে বসে সময় কাটানো অথবা সমুদ্রের ধারে বেশি সময় কাটতেই এতদিন দেখা গিয়েছে। তাই নতুন কিছু এনজয় করা হলে মন্দ হয় না। তবুও তো সেই ভাবনা থেকেই অভিনব উদ্যোগ সরকারের। ঘুরতে এসে পর্যটকরা যাতে কোনোভাবেই একঘেয়েমি অনুভব না করেন, তাই এবার বনদফতর নতুন পদক্ষেপ করেছে। দিঘায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছড়া, পাখি, প্রজাপতিদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নতুন এই পার্ক। পার্কের নাম দেওয়া হবে ‘পায়ে পায়ে প্রকৃতি দর্শন’।
নিউ দিঘার যাত্রানালায় তৈরি হচ্ছে এই পার্কটি। খুব শীঘ্রই খুলে যেতে পারে পার্কটি। সেখানে দেখতে পাওয়া যাবে নানান পাখি এবং গাছ-গাছালি। স্থানীয় বিভিন্ন প্রাণী এবং পাখিদের দেখা মিলবে পার্টিতে পার্কটিতে। এছাড়া বিনোদনের সমস্ত ব্যবস্থাই থাকছে বলে জানা গিয়েছে। এই পার্কে এখনও শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। পার্ক খুলে দেওয়া হলে পর্যটকদের আরও ভিড় বাড়বে বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য লাগবে ৩০ টাকা এবং ছোটদের ক্ষেত্রে দিতে হবে ১৫ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই পার্ক সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান জেলা বন বিভাগের আধিকারিক অনুপম খান।