এখন ভারত : ‘অগ্নিপথ’কে কেন্দ্র করে ১০ টির বেশি রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের মাঝেই ‘অগ্নিপথ’ আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে। এমনই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও।
শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিআরপিএফ-এ অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ঠিক তার পরের দিন, শনিবার টুইট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। টুইটে বলা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। প্রথমে ২১ বছর, পরে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২৩, এ বার আরও বাড়ানো হল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা। সেইসঙ্গে এ কথাও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি শাখায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। এগুলি হল বিএসএফ, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ, ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিএফ), সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি এবং সিআইএসএফ। এছাড়াও, ৭৩,২১৯টি পদ খালি রয়েছে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীতে শূন্যপদের সংখ্যা ১৮, ১২৪।
গত চারদিন ধরে বিহার থেকে বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গনায় ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে বিক্ষোভের আঁচ। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথ। ওয়ারেঙ্গলে মৃত্যু হয় সেনা হতে চাওয়া ২৪ বছরের রাকেশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়ের ঘোষণা বিক্ষোভের আগুন কিছু অংশে প্রশমিত করবে। তবে একপ্রকার চাপে পড়েই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও তার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবার বৈঠক ডেকেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।