এখন ভারত : টালিগঞ্জে প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে সাতসকালে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল আগুন। বৃহস্পতিবার ভোরে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেয় দমকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছোয় দমকলের মোট ১৫টি ইঞ্জিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ৭টা নাগাদ ওই গোডাউন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তাঁরা। টালিগঞ্জের কুঁদঘাট এলাকায় স্টুডিয়ো পাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বাড়তে থাকে আগুনে লেলিহান শিখা। আগুনের তীব্রতায় বিকট শব্দে ফেটে ভেঙে পড়ে গোডাউনের টিনের শেড। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক।
খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনে তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল তা বাগে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। তাই পরে আরও ১০টি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। গোডাউনটি বসতিপূর্ণ এলাকায়। তাই আশেপাশের আবাসনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে আগুন লাগার সময়ে গোডাউনে কেউ ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ফলে তাদের চেষ্টায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক কিছুটা কমে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘৮টি ফায়ার টেন্ডার আছে। সব ঠিক আছে। আগে আগুন নেভানোটাই লক্ষ্য।’
দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনার একঘন্টা পরও সেই প্রযোজনা সংস্থার তরফে কেউ আসেননি। এদিনের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে অত্যাধুনিক ও দামি ক্যামেরা, ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্র রয়েছে বলে অনুমান। ফলে সেসব মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে গিয়ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আগুনের তাপে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই হয়তো কোনওভাবে আগুন লেগেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হচ্ছে ঘটনার তদন্ত।