এখন ভারত : কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি। সমাজের যে কোনও শ্রেণির মানুষের সঙ্গেই অনায়াসে মিশে যেতে পারেন তিনি। সকলেই তার কাছের। বরাবরই লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসেন। হ্যাঁ তিনি আর কেউ নন, স্বনামধন্য গায়ক অরিজিৎ সিং। এই মানুষটাকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই প্রায় সকলেরই। গানের পাশাপাশি তার সহজ সাধারণ জীবন যাপনই তাঁকে আরো বেশি মানুষের কাছে আপন করে তুলেছে। দিন দিন তাঁর গুণমুগ্ধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
তাঁর অসাধারণ কণ্ঠে বুঁদ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। অরিজিতের কনসার্টের টিকিট মূল্য অনেক সময় হয়ে থাকে ৭৫ হাজার টাকা তবুও মাটিতে পা রেখে চলতেই ভালোবাসেন ‘ঝুমে জো পাঠান’ গায়ক। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয় এই গায়ক। কিন্তু নিজের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি টান চিরকালই মুগ্ধ করে তার ভক্তদের। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে গিয়ে নিজের ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল অরিজিৎ, তার প্রমাণ মিলল এই ভিডিয়োয়-
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক বৈঠকে ইংরাজিতেই কথাবার্তা চলছিল অরিজিতের। লন্ডনে দ্বিতীয় বার পারফর্ম করবার আগে খুব এক্সাইটেড ছিলেন এই গায়ক। আচমকাই অরিজিতের পূর্ব পরিচিত একজন বয়স্ক মহিলাকে দেখতে পান তিনি। তাঁকে দেখেই গায়ক বলে ওঠেন, জেঠিমা ইজ হিয়ার…’। এরপরেও থেমে থাকেননি অরিজিৎ। বাংলায় বলে উঠলেন, ‘কেমন আছো জেঠিমা?’ সাহেবদের মাঝে বসে বাংলা বলার প্রশান্তি চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল তার। অরিজিতের ফ্যান পেজ থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে।
সূত্র মাধ্যমে জানা যায়, ২০০৯ সালে লন্ডন সফরে এসেছিলেন অরিজিৎ। তখনই এক প্রবাসী বাঙালি পরিবারের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। পাঁচ বছর বাদেও অমলিন সেই স্মৃতি। পাঁচ বছর পরেও সেই স্মৃতি ভোলেননি তিনি। ২০১৪ সালের সেই ভিডিয়োতে অরিজিৎ জানান, ‘আমি এখানে অনেক মানুষকে চিনি। এখানে আমি একটা কোর্স করতে এসেছিলাম, কিন্তু সেটা শেষ করতে না পারায় আমাকে ফিরে যেতে হয়। এখানকার মানুষজন খুব ভালো’।
মাত্র এক দশকের প্লে-ব্য়াক কেরিয়ারে ৫০টির বেশি পুরস্কার রয়েছে অরিজিতের ঝুলিতে। তাঁর জীবনে সবথেকে বড় টার্নিং পয়েন্ট হলো ‘তুম হি হো’ গানটি। এই গানটি রিলিজ হওয়ার পর একপ্রকার মিউজিক সেনসেশনে পরিণত হন তিনি। বর্তমানে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ‘হিট মেশিন’ বলে ধরা হয় অরিজিতকে। দাপটের সঙ্গে বাংলা গানেও সমান দক্ষতা রয়েছে জিয়াগঞ্জের এই ভূমিপুত্রের। তবুও গ্ল্যামার জগতের চাকচিক্যের বাইরে জিয়াগঞ্জের বাড়িতেই স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাস অরিজিতের।