এখন ভারত : তাদের স্কুল জীবনের প্রেম পরিণতি পায়নি। কারণ পরিবারের চাপে প্রেমিককে ছেড়ে অন্য এক যুবককে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন অষ্টাদশী। তবে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন দু’জনেই। সেই প্রেমের টানাপোড়েনের পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার সুবোধপুরের শ্মশান থেকে উদ্ধার হয়েছে যুগলের ঝুলন্ত দেহ। মৃতদের নাম সোনামণি প্রধান (২৪) এবং শ্রীকান্ত সামন্ত (২৫)। জানা গিয়েছে, সোনামণির বছর তিনেকের একটি সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামণি ভগবানপুরের বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আর প্রশান্তর বাড়ি পাশের গ্রাম পশ্চিম ঘোষপুরে। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্ত প্রশান্তর সঙ্গে বিয়েতে মত ছিল না সোনামণির পরিবারের। অন্য জায়গায় সোনামনির বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সোনামনি। কিন্তু দু’জনই সেই সম্পর্ক ভুলতে পারেননি। স্বামীর অজান্তে তাই প্রায়ই পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেন সোনামণি। গ্রামের রাস্তায় তাঁদের এক সঙ্গে দেখাও যেত। গ্রামবাসীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। এরপর সেই প্রেমিকের সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তাঁরা এটাও জানতেন যে, তাঁদের সেই সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে না কোনওদিনই। তাই প্রেমিকের সঙ্গেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ। একই শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী যুগল।
শনিবার রাতে বাপের বাড়ি থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান সোনামনি। তিন বছরের পুত্রসন্তানকে বাপের বাড়িতে রেখেই বের হন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে আর কোন খোঁজ মেলেনি তাঁর। পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও সন্ধান পাননি। রবিবার সকালে সুবোধপুর শ্মশান সংলগ্ন এক বাবলা গাছে একটি শাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ভগবানপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
যদিও পরিবারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।