প্রায়শই আমরা বাজার থেকে সবুজ শাক-সবজি কিনি অনেক দামে। দিনে দিনে সবজির দাম বেড়েই চলেছে। একেই করোনার কারণে বহু মানুষ কর্মহীন। নতুন করে অনেকে অবশ্য কাজ খুঁজে পেয়েছেন। তাও বেতন খুবই সামান্য। কেউ আবার রোজগারের আশায় ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছেন। অনেক মানুষ এখনও হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রোজগারের আশায়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে চাষবাস কিন্তু মানুষের আয়ের পথ প্রশস্ত করেছে। যদিও আমাদের দেশের মানুষ প্রায়ই সবজির ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে সমস্যায় আছেন। তবে ভারতে এমন কিছু সবজি রয়েছে, যেগুলোর দাম বেশি হলেও স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী এবং কৃষকরাও এগুলোর দাম ভালো পান। জেনে নিন সেইসব সবজি সম্পর্কে-
পার্সলে :
পার্সলে একটি সবুজ শাক, তবে বেশিরভাগ লোক এটিকে ধনেপাতা বলে ভুল করেন। এটি তাজা এবং শুকনো আকারে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এটি ভারতে চাষ করা হয় না, তাই এটি অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এক কেজি পার্সলে দাম ২০০-৩৭০ টাকার বেশি।
অ্যাসপ্যারাগাস বা শতভরি :
প্রতি কেজি শতভরি বা অ্যাসপ্যারাগাসের দাম প্রায় ১২০০ – ১৫০০ টাকা। এটি রান্না করা খুব সহজ। অধিকাংশ মানুষই এই সবজি ভেজে খেতে পছন্দ করেন। এটি আমাদের দেশে খুব ব্যয়বহুল এবং সহজে পাওয়া যায় না। ভারতে এই সবজি চাষ করা হলেও প্রতিটি কৃষক এটি চাষ করেন না। কিন্তু চাষ করলে এর থেকে দারুন মুনাফা পাওয়া সম্ভব।
মোরেল মাশরুম :
এই মাশরুমগুলি মোরেল মাশরুম নামেও পরিচিত। এগুলি হল ছত্রাক প্রজাতির একটি বন্য মাশরুম। এগুলি সাধারণত হিমালয়ে দিকে পাওয়া যায়। বাজারে এর দাম প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। গুচি একটি বিরল প্রজাতির মাশরুম। এটি শুধুমাত্র ভারতে পাওয়া যায়। বিদেশে এই মাশরুমের চাহিদা ব্যাপক।
বক চয় :
ভারতে এই সবজি খুব একটা পাওয়া যায় না। সাধারণত লোকেরা এটি অনেক রেস্তোরাঁয় খায়। এটি নুডুলসের সাথে পরিবেশন করা হয়। অবশ্য আজকাল অনেকের এটি বাড়িতেও এর ব্যবহার দেখা যায়। Bok Choy এর একটি স্টেম প্রায় ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়।
চেরি টমেটো :
এগুলি টমেটোর তুলনায় আকারে ছোট এবং চেরির মতো। এগুলি অনেক খাবারে ব্যবহৃত হয় এবং কখনও কখনও পাস্তা বা স্যালাডে কাঁচা খাওয়া হয়। চেরি টমেটোর দাম বেশি। এক কেজি চেরি টমেটোর দাম প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
এই সবজিগুলো ব্যবসা করতে পারলে ধীরে ধীরে আয়ের পথ প্রশস্ত হবে। বাড়বে ব্যবসা। পরিবারের মুখে সহজেই হাসি ফোটাতে পারবেন আপনি। তাই আজ থেকে শুরু করে দিন চাষবাস।