চা হলো এমন একটি পানীয়, যা কিনা একবার চুমুক না দিলে মন ভরে না। কারোর আবার নাকি দিনই শুরু হয় না। অনেকের আবার দিনের প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় চা না খেলে মন আনচান করে। ব্রেকফাস্ট হোক বা টিফিন, কাজের ফাঁকে চলতে থাকা আড্ডার মাঝে আর কিছু, থাক বা না থাক ১-২ কাপ চা ছাড়া যেন জমে না কিছুই। কারও পছন্দ দুধ চা কারও বা লিকার। সে যাই হোক, চা আমাদের অলটাইম ফেভারিট।
তবে এক কথায় বলা যেতেই পারে চায়ের যেমন একদিকে অনেক গুনও আছে, তেমন আছে অনেক অপকারিতাও। তো আসুন দেখি গুনের দিক থেকে আমাদের প্ৰিয় পানীয় কতটা উপকারী।
চায়ের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনেসিস। এটিতে অনেক ঔষধি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার, হৃদরোগ, বাত এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১. চা ক্যান্সারের মত জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। আসলে, চায়ে পলিফেনল যৌগের মতো বেশ কিছু ম্যাজিক উপাদান রয়েছে, যা টিউমার কোষগুলিকে পার্শ্ববর্তী অংশে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়। এবং কোষের তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২. হৃদরোগ প্রতিরোধ
হৃৎপিন্ডকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত গ্রিন টি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত চা খাওয়ার অভ্যাসে আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ, রক্তচাপ, লিপিড কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে রাখে। দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
৩. বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চায়ের ভূমিকা অপরিসীম।
গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে, যা বাতের ঝুঁকি এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪. ডায়াবেটিস কমাতে চা উপকারি। চা ইনসুলিনের সক্রিয়তা বাড়ায় যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫. কাজের ট্রেসে মাথার তীব্র ব্যাথা কমাতেও কিন্তু চায়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
এক কাপ চা যেমন ক্লান্তি দূর করে, ঠিক তেমনই ম্যাজিকের মত মাথা ব্যাথাও কমিয়ে দিতে পারে। আসলে, এতে ক্যাফিন রয়েছে, যা মাথা ব্যাথার প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে।
উল্লেখ্য, একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফিন গ্রহণ করতে পারেন। তবে এর থেকে বেশী মাত্রায় ক্যাফিন উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে তা মাথাব্যথা, অনিদ্রা এবং অস্থিরতার মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।