লাভ হাউস বাড়ি নিয়ে বিতর্কে ঝড় উঠলো সোশ্যাল মিডিয়ায়

Follw Us Now

এখন ভারত : বীরভূমের বগটুই কাণ্ডের পর এবার নজর কাড়লো ভাঙ্গরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মোদাচ্ছের হোসেনের বিলাসবহুল লাভ হাউস। আর এই বাড়ি নেই বিতর্কে ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন সিপিএম নেতা তথা হাইকোর্টের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এই রিট পিটিশন ওপর ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট একটি এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ অনুসরণ করেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সেই বাড়ি মাপঝোক করছে কাশিপুর থানার পুলিশ ও ভাঙ্গড় 2 নম্বর ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতর। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে দফতর আধিকারিক জানান হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই তারা এই বাড়িতে অনুসন্ধান চালিয়ে ছেন এবং ইতিমধ্যেই অনুসন্ধান করে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গেছে তার রিপোর্ট করে হাইকোর্টে পেশ করবেন তারা। রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ ও সিপিএম কর্মী আনারুলের প্রাসাদ বহুল বাড়ির দেখে অনেকেই হতভম্ব হয়ে পড়েছে। এমনকি বেশ কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ার বিলাস বহল জাহাজ বাড়ি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বগটুই কান্ডের পর থেকে তৃণমূল নেতা মোদাচ্ছের হোসেনের এই বাড়িটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল করে চলেছেন সিপিএম কর্মীরা। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মোদাচ্ছের হোসেন দলের সঙ্গে জড়িত আছেন এমনকি গত ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের প্রধান উপপ্রধান দায়িত্ব পালন করে গেছেন মোদাচ্ছের এছাড়াও বর্তমানে ভোগালি ২ পঞ্চায়েত প্রধান তিনি তারি সাথে তৃণমূল অঞ্চলে সভাপতি। এ বিষয়ে মোদাচ্ছের জানিয়েছেন তার নিজস্ব মাছের ভেরি রয়েছে এবং চাষের জমি রয়েছে সেখান থেকে কিছু টাকা রোজগার করে এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই শখের লাভ হাউস বানিয়েছেন তিনি তবে এই লাভ হাউস নিজের বিলাসিতা জন্য বানাননি তিনি। তিনি আরো বলেন নিজে আয় করে ক্রমাগত এক একটা টাকা জমিয়ে জমি কিনে নিজের ইচ্ছে মত বাড়ি বানিয়েছেন তিনি। কোন ধরনের অসৎ উপায়ে অবলম্বন করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন বিরোধীদলীয় নেতা নেত্রীরা চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন যেহেতু এটি একটি আদালতের বিচারধীন বিষয় তাই সে ক্ষেত্রে জনসমক্ষে তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করতে চান না।
 

ট্রেন্ডিং খবর