এখন ভারত : এবার রাজ্যের পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রমে একটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ‘গীতা’। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গীতার নানা দিক সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হবে।
তবে বাংলায় নয়, হিমাচল প্রদেশের সরকার পড়ুয়াদের জন্য গীতাপাঠের ব্যবস্থা করছে। রবিবার হিমাচলপ্রদেশের মান্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং ঠাকুর।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একটি বিষয় হিসাবে ‘ভগবদ গীতা’ পড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত পড়ুয়াদের নৈতিক শিক্ষাদানের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। হিন্দি ও সংস্কৃত, এই দু’টি ভাষাতে ‘ভগবদ গীতা’ পড়ানো হবে। পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণি থেকে সংস্কৃত পড়ানো হবে।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানান, নবম শ্রেণি থেকে ভগবদ গীতা সিলেবাসের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেই এই পথে হেঁটেছে গুজরাট এবং হরিয়ানা সরকার। ১৭ মার্চ তারিখে গুজরাট সরকার জানায়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে ‘ভগবদ গীতা’-র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই কথা জানান গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী জিতু বাঘানি। তিনি জানান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘ভগবদ গীতা’কে পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তিতে গুজরাট সরকার জানিয়েছিল, গৌরবের অনুভূতি ও দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ‘ভগবদ গীতা’কে স্কুল সিলেবাসের অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে পড়ুয়াদের সাম্যক জ্ঞান দিতেই এই পদক্ষেপ।
অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী কানওয়ারপাল গুর্জার বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সিলেবাসে ‘ভগবদ গীতা’কে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন।