কুমির আতঙ্ক
চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছরের মতো এ বছরও আজ মহালয়ার পূণ্য তিথিতে পিতৃপুরুষদের জলদান করতে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট গুলিতে ছিল ভিড়। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার একাধিক ঘাটে চলে তর্পণের অনুষ্ঠান। তবে এখানে কিছুটা আতংকের সঙ্গেই তর্পণ করতে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষকে। আতঙ্ক রয়েছে কুমির না চলে আসে। এরকমই পরিস্থিতির মধ্যে বর্ধমান জেলার কালনার একাধিক নদীঘাটে মহালয়ার তর্পণ করা হয়। যদিও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে বন দফতরের তরফে ছিল কড়া নজরদারি। কুমির তাড়াতে মাঝেমধ্যেই ফাটানো হয় জল বোমাও।
শনিবার সকালে মহালয়ার পুণ্য লগ্নে কুমির থেকে মানুষকে সচেতন করতে বন দফতরের তরফ থেকে ফাটানো হয় জল বোমা। কালনার একাধিক ঘাটে চলে তর্পণের অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই কালনার ভাগীরথী এলাকা সংলগ্ন জাপট পালপাড়া এলাকায় কুমিরের দেখা মিলেছিল। শহরের মধ্যে দিয়েই হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল মস্ত একটি কুমিরকে। এরপরই এলাকায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। এদিন সকাল ছটার পর থেকেই কালনা ফেরিঘাট থেকে শুরু করে কাললার বিভিন্ন ঘাটে চলছে বন দফতরের তরফে সচেতনতা প্রচার।
লঞ্চে উঠে প্রচার চালাতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। অগ্রিম সতর্কতা হিসেবে তিনি সকলে উদ্দেশ্যে বলেন, বেশি দূরে যাবেন না, ভাগীরথীতে কুমির রয়েছে। সাবধানে ও সতর্কতা অবলম্বন করে স্নান করুন। মাইকে এমনই বার্তা দিতে শোনা যায় মন্ত্রীকে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, আজকে মহালয়া। কালনা শহরের ঘাটগুলিতে প্রচুর মানুষ আসেন তর্পণ করতে। কালনা, কাটোয়া সহ বহু দূর থেকে এখানে মানুষ তর্পণ করতে আসেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সর্বক্ষণ প্রচার চালানো হয়েছে। মানুষ যাতে জলে নেমে বেশি দূর পর্যন্ত না যায়, সে জন্য সব সময় নজর রাখা হচ্ছে।
আরও খবর- ব্রিজ থেকে বাচ্চা সমেত খালে পড়লেন মা, সন্তানকে বাঁচাতে হাবুডুবু মায়ের
কুমির আতঙ্কে ‘বোমা’ ফাটাল প্রশাসন! ভয়ে ভয়ে তর্পণ কালনার ঘাটে
স্থানীয়দের একাংশ জানান, কালনা পৌরসভা এলাকায় একটি কুমির ঢুকে পড়েছিল। তাই নদীতে নামলে কিছুটা আতঙ্ক তো থাকেই। তবে যেরকম ব্যবস্থাপনা দেখছি, তাতে অনেকটাই নিশ্চিন্ত। প্রশাসনের তরফে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। ভাগীরথী তীরে সব ঘাটে আজ মহালয়ার তর্পণের জন্য হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। যদিও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।