আশ্চর্য গ্রাম
EKHON BHARAT :- এ কথা আমরা সবাই জানি যে মানুষ দু পায়ে ভর দিয়ে চলাফেলা করে আর পশুরা চার পায়ে। কিন্তু মানুষকে কখনো দুই হাত আর দুই পায়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে দেখেছেন ? বলা ভালো চার পেয়ে মানুষ কখনো দেখেছেন নাকি শুনেছেন? আপনি শুনুন আর না শুনুন অথবা ভাবলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ? আধুনিক প্রযুক্তির আলোতে এসেও এমনই একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে গেলে দেখা মেলে চার পেয়ে মানুষের। এই গ্রামের মানুষরা বানরের মতো হাঁটে। হাঁটার জন্য ব্যবহার করেন দুটি হাত এবং দুটি পা। এদের গড় আয়ু স্বাভাবিক মানুষের গড় আয়ু তুলনায় প্রায় ১০ বছর পিছিয়ে। চার পায়ে হাঁটার কারণে হাতের চামড়াও পায়ের মতো পুরু শক্ত।
এই আশ্চর্য গ্রাম রয়েছে তুরস্কে। আদিম যুগের মানুষ দুই হাত আর দুই পায়ে ভোট দিয়ে চলাফেরা করতো। কিন্তু পৃথিবীর জীবজগতের বিবর্তনের ফলে মানুষ দু পায়ে হাঁটতে শিখেছে। অথচ তুরস্কের এই গ্রামের মানুষ এখনো পর্যন্ত সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তারা চার হাত পায়ে বন্য জন্তুদের মতোই হেঁটে বেড়ান।
আরও খবর- দুর্গাপুজোতেও ‘ওহ লাভলি’, এ বছর লিলুয়ার থিমে কামারহাটির ‘কালারফুল বয়’
পৃথিবীতেই রয়েছে এক আশ্চর্য গ্রাম যেখানে চার হাত-পায়ে হেঁটে বেড়ায় মানুষ
পশুদের মতো হাঁটার কারণ নিয়ে চলেছে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। গবেষণায় দেখা যায়, তুরস্কের দুর্গম পাহাড়ি জায়গায় ইলনেস নামক এক ব্যক্তি তার স্ত্রী-সহ সন্তান নিয়ে রয়েছেন। যাদের ছয় জন বিশেষভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার স্বীকার। পরীক্ষা নিরীক্ষা দেখা যায়, তাদের মস্তিষ্কের সমস্যার পাশাপাশি জিনের কিছু সমস্যা রয়েছে। যা তাদের বংশভিত্তিক শারীরিক বিকৃতির কারণ। তুরস্কের গ্রামবাসীরা একই পরিবারের বা একই বংশের মানুষ। তাই শারীরিক ভাবে তারা সবাই চার হাত-পায়ে হাঁটাচলা করেন। আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে সঠিক পদ্ধতিতে হাঁটা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তবে অল্প বয়সীদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সোজা ভাবে হাঁটার অভ্যাস করানো হচ্ছে।
হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরার কারণে তাদের পিঠ আর কোমরের হাড় গুলো বেঁকে গিয়েছে, প্রশস্ত হয়েছে নিতম্ব। তারা অত্যন্ত ধীরে কথা বলে। বিশ্বের অন্যান্য মানুষ বা দেশের সম্পর্কে তাদের যোগাযোগ খুব কম। গ্রামবাসীরা তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ওই গ্রামের মধ্যেই আবদ্ধ রেখেছেন। যার কারণে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুর জন্ম বেশি হয়। এই বিশেষ গ্রাম এখন পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান ওয়াশিংটন পোস্টে নিশ্চিত করেছিলেন, এই গ্রামবাসীরা সেরিবেলার অ্যাটাক্সিয়া নামক রোগে আক্রান্ত। তারা এভাবেই চলাফেরায় অভ্যস্ত।