EKHON BHARAT :- সময় সঙ্গে সঙ্গে দেশের নিয়মকানুনও বদলাচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে অনেক নিয়ম কানুনেই বদল এসেছে। এবার বার্থ সার্টিফিকেটের নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে মোদী সরকার। এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেটই হতে চলেছে সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। ১ অক্টোবর থেকে এই সার্টিফিকেটের গুরুত্ব বাড়ছে। আধার কার্ডের মতোই, জন্ম সার্টিফিকেটটিও হবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটিই হতে চলেছে আপনার প্রধান প্রমাণপত্র।
সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি যে কোনও কাজেই এবার থেকে একমাত্র নথি হিসেবে জন্মের শংসাপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে হবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
যে কোনও সরকারি ক্ষেত্রে এই নথি বাধ্যতামূলক। ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে আধার কার্ডের আবেদন, স্কুল-কলেজে ভর্তি, সরকারি চাকরি বা পাবলিক সেক্টরের নানা ক্ষেত্রে এমনকী পাসপোর্ট তৈরি , বিয়ের রেজিস্ট্রি সব ক্ষেত্রেই জন্ম শংসাপত্রকেই গণ্য করা হবে একমাত্র নথি হিসেবে। গত বাদল অধিবেশনে বিলটি পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এবার সেই আইনই কার্যকর হতে চলেছে। সূত্রের খবর, আগামী ১ অক্টোবর থেকেই জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত জাতীয় ও রাজ্যস্তরে তথ্য ভাণ্ডার তৈরির করার কাজ কার্যকর হবে। এই সংশোধনী আইনের ফলে ভারতীয়দের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য সরকারের হাতে আরও নিখুঁত ভাবে থাকবে।
বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে কোন কোন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন? জেনে নিন
মোদীর জন্মদিনে অটোভাড়া লাগছে না ! অভিনব উদ্যাপন সুরাতের চালকদের
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর ধারা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর তারিখ থেকে এই নিয়ম কার্যকর করছে।”
গত বাদল অধিবেশনেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার বিলটি পাশ করিয়েছিল। এবার কার্যকর হতে চলেছে সেই আইনই। এই সংশোধনীর ফলে ভারতীয়দের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য সরকারের হাতে আরও নিখুঁত ভাবে থাকবে ৷ যার ফলে স্বচ্ছতা আসবে সরকারি সুযোগ সুবিধা বিতরণের ক্ষেত্রেও ৷ লোকসভায় বিলটি পেশ করে এমনই দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই৷ লোকসভায় নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন তৈরির পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও সংশোধনই হয়নি ৷ কিন্তু সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত বদলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই আইনটি আরও সাধারণ মানুষের আরও উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন ছিল ৷ সেই কারণেই আনা হয়েছে সংশোধনী বিল।
সাধারণত সদ্যোজাতের জন্মের ১৫-২১ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করতে হয় বার্থ সার্টিফিকেট। শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বা কর্পোরেশন থেকে এই শংসাপত্র সংগ্রহ করা যায়। অন্যদিকে গ্রাম অঞ্চলের ক্ষেত্রে, পঞ্চায়েত থেকে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে।