EKHON BHARAT :- সাধারণত পাশের বাড়ি, পাড়া বা গ্রামের মানুষের সঙ্গে আমাদের সকলেরই সৎভাব থাকে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমনই এক গ্রাম রয়েছে, যার সঙ্গে আশপাশের গ্রামের মানুষও দূরত্ব বজায় রাখেন। কারণ গ্রামটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক আতঙ্ক। তবে ভৌতিক বা দুর্বৃত্তের কারণে নয়! এই আতঙ্কের নাম ‘কিং কোবরা’।
আজকে উঠলে নিশ্চয়ই হ্যাঁ বিষয়টি আঁতকে ওঠার মতোই। সাপের থেকে দূরে আমরা সকলেই থাকি। আর যদি বিষধর কোনও সাপ হয় অথবা কিং কোবরা তাহলে তো কোনও কথাই নেই! আগেই দশ হাত পিছনে সরে যাই। কিন্তু এ গ্রামের মানুষ জন্মে থেকেই সাপ দেখে অভ্যস্ত। কারণ বাড়িতেই পরিবারের একজন হয়ে থাকে সাপেরা। তাও যদি বিষহীন সাপ হত! এ গ্রামে আবার কিং কোবরা বা কোবরার মত অতি বিষধর সাপই পোষেন সকলে।
প্রতিটি বাড়িতেই এই বিষধরেরা থাকে। সেখানেই খাওয়াদাওয়া করে। প্রতি বাড়ির বাসিন্দাই বাড়ির পোষা সাপের জন্য আলাদা একটি জায়গার ব্যবস্থা করে রাখেন। সেখানেই সাপেরা প্রয়োজনে বিশ্রাম নেয়। সেটাই তাদের আশ্রয়।
এই গ্রামের সবাই বিষধর কোবরা পোষেন, ছোটদের খেলার সঙ্গীও এই সাপ!
বেআইনিভাবে বড় গাছ কাটার অভিযোগ, বালিগঞ্জে পৌঁছে যেভাবে রুখে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল
প্রতিটি পরিবার যে সাপ বাড়িতে পোষে তা এমনই বিষাক্ত যে একটি ছোবলে মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু গ্রামের মানুষ ভয় তো দূর, সাপদের যত্ন নেন। বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা খেলার সময় বাড়ির পোষা সাপকেও সঙ্গী হিসেবে নেয়। বিষধর সাপের সঙ্গে চুটিয়ে খেলা করে তারা। যখন তখন সাপদের হাতে তুলে নেয়। গায়ে জড়িয়ে ধরে। দেখলে মনে হবে যেন এ কোন সত্যিকারের সাপ নয়, একটি খেলনা নিয়ে খেলছে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও। অথচ ভাবলে আমার আপনার মত সাধারন মানুষের রক্ত ঠান্ডা হয়ে যাবে একথা ভেবে যে, এটি নকল নয় সত্যি সাপ! সাধারণ মানুষের সাপ তাদের কাছে গরু, ছাগল, মুরগি বা হাঁসের মত এক গৃহপালিত প্রাণি।
মহারাষ্ট্রের শেঠপাল হল সেই গ্রাম যেখানে সাপ ও মানুষ একসঙ্গে থাকেন। এখানকার প্রতিটি বাড়িতে বিষধর সাপ পোষা হয়। এই গ্রামের মানুষের প্রাচীন বিশ্বাস যে বাড়িতে সাপ পোষা থাকলে তাঁদের পরিবারের ওপর কোনও খারাপ কিছু নেমে আসবে না। স্বাভাবিকভাবে শেঠপাল গ্রামের মানুষের সাপ পোষার প্রাচীন রীতি এই গ্রামকে সারা বিশ্বে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। সাপের গ্রাম বলে ভারত তো বটেই, এমনকী, বিশ্বেও শেঠপাল গ্রামের যথেষ্ট পরিচিতি।