যাদবপুর কান্ডে বিস্ফোরক তথ্যের হদিশ পুলিশের হাতে! গ্রেফতার হতে পারে আরও একাধিক

Follw Us Now

এখন ভারত : যাদবপুর কাণ্ডে আর এক নয়া মোড়। পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর আরও এক তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত এই কাণ্ডে যে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সকলেই ধিক্কারজনক ওই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, চিঠি লেখানোর সিদ্ধান্তে তাঁদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মানসিক হেনস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ধৃত সকলেই।

যে চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। যাদবপুরের বামপন্থী একটি সংগঠনের কর্মীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, সৌরভ ও সপ্তক চিঠি লিখতে বলেছিলেন। কিন্তু চিঠি লিখেছিলেন দীপশেখর। ১০৪ নম্বর ঘরে স্বপ্নদীপের সামনেই ওই চিঠি লেখা হয়েছিল। ওই পড়ুয়া লিখতে পারছিল না, তাই তিনি লিখে দেন। পুলিশি তদন্তে এমনটাই জানিয়েছে দীপশেখর। সৌরভ হোয়াটসঅ্যাপে ওই চিঠি কাউকে পাঠিয়েওছিলেন। কিন্তু, কাকে পাঠিয়েওছিলেন তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঠিক কী কী বিষয়ে হস্টেলে জিবি হয়েছিল, কখন জিবি হয়েছিল, মূল কারণ কী সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

অন্যদিকে, ওই ছাত্রের পোশাক খোলার বিষয়েও জোর করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত সকলের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত উঠে আসা তদন্তে জানা যাচ্ছে, ঘটনার রাতে প্রথমে চিঠি লেখা হয়। ১১টা নাগাদ প্রথমে চিঠি লেখানো হয় ১০৪ নম্বর রুমে। এরপর শুরু হয় ইন্ট্রো পর্ব। প্রথমে ৬৮ নম্বর রুম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ১০৪ নম্বর রুমে। সাড়ে ১১ টা নাগাদ ফের নীচের তলায় নিয়ে আসা হয় স্বপ্নদীপকে। ইন্ট্রোর নামে শুরু হয় নির্যাতন। তাকে বিবস্ত্র করানো হয় বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে রাত ১০টা ৫ মিনিট নাগাদ ডিন অফ স্টুডেন্টকে ফোন করা হয় হস্টেল থেকে। ওই সময় জানানো হয়েছিল ছাত্রটি অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ডিন অফ স্টুডেন্টকে ফোন করার পরেও কেন পদক্ষেপ করা হল না? তাহলে হয়তো অকালে এভাবে একটি প্রাণ চলে যেত না। খালি হতো না মায়ের কোল।

ট্রেন্ডিং খবর