এখন ভারত : চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ পল্লবী দে’র মৃতদেহ। সেই মৃত্যুর তদন্ত এখনও চলছে। এরপর বৃহস্পতিবার দমদমের ভাড়াবাড়ি থেকে মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর শুক্রবার সকালে কলকাতার পাটুলি থেকে বিদিশার বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মঞ্জুষা।
জানা গিয়েছে, বিদিশার ভালো বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবার তিনি বিদিশার মৃত্যুর খবর পেয়ে অত্যন্ত ভেঙে পড়েন। এমনকি শ্বশুরবাড়ি থেকে পাটুলিতে নিজের বাড়িতে চলে এসেছিলেন। এরপর রাতে সম্ভবত নিজের ঘরে আত্মঘাতী হন। শুক্রবার ভোরে বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
বিদিশার জন্যই কি শোকে মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? তা ভেবে পাচ্ছেন না মঞ্জুষার পরিবারের লোকরা। গড়িয়ার মেয়ে মঞ্জুষা থিয়েটার অভিনেত্রী হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। হরিমতী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে বায়োসায়েন্স নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন। পাশাপাশি থিয়েটারে অভিনয়ও করতেন। সেখান থেকেই টলিউডে পা।
মঞ্জুষার মা জানান, ‘মাত্র ৬ মাস আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ি খুব ভালো। বিয়ের পরও নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।’ ছোটোপর্দার ধারাবাহিকে ছোটো ছোটো চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের পরিচিতি পান মঞ্জুষা। ‘ব্রাইডাল শুট’-এর জগতে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি হাতে কাজ একটু কম থাকায় খানিকটা অবসাদে ভুগছিলেন।
শুক্রবার সকালে মঞ্জুষার মায়ের মুখে শোনা গেল, ‘মেয়ে বিদিশার খুব ভালো বন্ধু ছিল। সবসময় বিদিশার কথা। ওর ইচ্ছে ছিল, মডেলিং করেই খুব বড়ো হবে। বিদিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে আরও ভেঙে পড়ল। আমাকে বারবার বলছিল, কেন এভাবে চলে গেল বিদিশা? তবে ও যে এমনটা করবে, ভাবতেই পারিনি। আসলে এদের খুব লোভ। পল্লবী, বিদিশা, মঞ্জুষা – সবার খুব লোভ ছিল। পয়সার হাতছানিতে ওরা বাকি সব ভুলে গেল। নিজের দোষেই নিজের মৃত্যু ডেকে এনেছে মেয়ে