এখন ভারত : ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সের থেকে আগাম সংঘ নিতে দেশজুড়ে গাইডলাইন জাতি করেছে কেন্দ্র। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হল, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে বাড়ির পোষ্য বা অন্য কুকুর-বিড়ালদের কাছে ঘেঁষবেন না। তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে কম করে ৩ সপ্তাহ পোষ্যদের এড়িয়ে যেতে হবে। তা না হলে পোষ্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এখনও অবধি বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ২০০ জনের বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বর, শরীরে ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা এবং ক্লান্তি অনুভব করাই হল এই রোগের লক্ষণ।গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির মুখে, হাতে ফুসকুড়ি এবং ক্ষত তৈরি হতে পারে। যা শরীরের অন্য অংশেও ছড়াতে পারে।
হু জানিয়েছে, এই ভাইরাসটি ইঁদুর এবং বানরের মতো প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া গেছে। সাধারণত, মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকায় এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি। তবে সম্প্রতি, ব্রিটেন, আমেরিকা, ইজরায়েল এবং ফ্রান্স সহ অন্য দেশগুলিতে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সিও সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, যাঁরা ইদুর পোষেন তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে ইঁদুরগুলিকে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ সংক্রমিত হলে সেখানে কোনও পোষ্য না রাখাই ভালো।
জানিয়ে রাখি, বেশিরভাগ সংক্রমণ ২ থেকে ৪ সপ্তাহ থাকে। জীবিত বা মৃত বন্যপ্রাণীর মাংস খেলে এই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। ভাইরাসটি সহজে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না। কিন্ত শরীরের তরল, ঘা, খোলা ক্ষত স্থানের সংস্পর্শ বা শ্বাস প্রশ্বাসের থেকে নির্গত জল কণার মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।